নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

সৈয়দপুর রেলওয়ে : বাতিল লোহা বিক্রিতে আয় ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : দেশের রাষ্ট্রায়িত প্রতিষ্ঠান রেল খাত। সরকার এ সংস্থাকে বিশ্বমানের গড়তে হাতে নিয়েছে মহাপরিকল্পনা। কিছু প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। এছাড়া বাস্তবায়নাধীন রয়েছে অনেক প্রকল্প। তারপরও লোকসানের রাহুগ্রাস থেকে বের হতে পারছে না সরকারের এ সংস্থাটি। এমন পরিস্থিতিতেও আলোর ঝিলিক দেখিয়েছি সৈয়দপুর রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়।
গত অর্থবছরে ফেলনা লোহা বিক্রি করে আয় করেছে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরেও আয়ের আশা রাখছে। এ ব্যাপারে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী রাশেদ ইবনে আকবর ভোরের কাগজকে জানান, যাত্রীবাহী ও মালবাহী বগি মেরামত করতে গিয়ে যেসব লোহার ছোট ছোট অংশ ইয়ার্ডে পড়ে থাকে তেমন ধরনের ফেলনা লোহা এক সঙ্গে করে টেন্ডারে বিক্রি করা হয়। কোনোভাবেই যাতে ওজনে কারচুপি না হয় সেজন্য ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল স্কেল।
এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা কারোরই ঠকার সম্ভাবনা থাকে না। ওই কর্মকর্তার মতে রেল সরকারের একটি বড় প্রতিষ্ঠান। এটির মালিকানা জনগণের। তাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও দেশের নাগরিক হিসেবে রেলের কানাকড়ি সম্পদের যাতে কোনো অপচয় না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।
পূর্বে ওইসব ফেলনা লোহা নানাভাবে অপচয় হতো। বর্তমানে সে সুযোগ কেউ পাচ্ছে না। এই কারণে ফেলনা ওইসব লোহা এক জায়গায় জমা করে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে সরকারের কোষাগারে অর্থ জমা দেয়া হচ্ছে।
এতে কিছুটা হলেও সরকার উপকৃত হবে। জানতে চাইলে পশ্চিম রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মুহাম্মদ রাশেদুল আমিন ফেলনা লোহা বিক্রি করে আয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়