নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে প্রকৃতি দর্শন : ভাড়াউড়া চা বাগানে জলে ঘেরা গোলটিলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিকুল চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে : শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া লেকের গোলটিলা। পাশেই দৃষ্টিনন্দন শংকর টিলা এবং নওয়া লেকের প্রাণ প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে পর্যটকদের। চারদিকে সবুজ চা বাগান, মাঝখানে বেশ কিছু এলাকাজুড়ে রয়েছে দুটি লেক। যেখানে শাপলা হাসে, পাখি গান করে মন আনন্দে। মাছরাঙা ঝাঁপ দেয় বিলে। বক যেন থাকে ধ্যানে। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার ভাড়াউড়া লেক। এর ডানপাশে গোল টিলার পেছনের

অংশে অল্প একটু জায়গা ছাড়া চারপাশেই পানিতে পরিপূর্ণ। রাউন্ড টিলাটি সবুজ চা বাগান এবং ছায়াবৃক্ষে ঘেরা। যার একপাশে রয়েছে শংকর টিলা। যেখান থেকে রাউন্ড টিলার প্রায় ৮০ ভাগই দৃশ্যমান।
শংকর টিলা থেকে রাউন্ড টিলার দিকে তাকালে অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রাকৃতিক রূপ নিমিষেই দূর করে দেয় মনের ক্লান্তি। আর শংকর টিলা থেকে রাউন্ড টিলার সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি শংকর টিলা নিজেই অন্য রকম এক সৌন্দর্য ধরে রেখেছে। এটি আশপাশের টিলার মধ্যে উঁচু। যেখানে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি শিবলিঙ্গ ও শিবমূর্তি। টিলাটি অনেক উঁচু এবং খাড়া হওয়ায় বাগান কর্তৃপক্ষ সেখানে ওঠার জন্য আরসিসি ঢালাই করে দিয়েছে। যার এক পাশ থেকে পুরো ভাড়াউড়া লেক দৃশ্যমান। ডান পাশের টিলায় গেলে দেখা যায় বুড়বুড়িয়ার নয়া লেক। চা বাগানের স্বার্থে বাগান কর্তৃপক্ষ গত বছর এটি খনন করে।
স্থানীয় ভ্রমণপিপাসু সুলেমান পাটোয়ারী জানান, এই সময়ে লেকে শাপলা থাকে। হরেক রকম পাখির সমাহার ঘটে। লেকে যাওয়ার পথে অনেক সুন্দর সুন্দর চা বাগান ও বাগানের নার্সারিগুলোর দেখা মেলে।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুল হক জানান, এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে এ জায়গাটির গুরুত্ব অনেক। কারণ এটি শহরের সবচেয়ে কাছের একটি পর্যটন স্পট।
পর্যটন বান্ধব সায়েদ আলী জানান, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কলেজ রোড হয়ে সোজা ভাড়াউড়া চা বাগান। ভাড়াউড়া চা বাগান থেকে ডান দিকে রেললাইন পেরিয়ে সামান্য সামনে গিয়ে আবার বাঁদিকে সোজা চলে গেছে শংকর টিলা। শংকর টিলার উপরে ওঠার আগে নিচ থেকে বাঁদিকে ভাড়াউড়া লেক।
এর দূরত্ব শহর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার। দুই কিলোমিটার পর্যন্ত রিকশায় গিয়ে পরে হেঁটে যেতে হয়। গাড়ি বা মোটরসাইকেল হলে তা নিয়ে শংকর টিলায় ওঠা যাবে। শহর থেকে হাঁটাসহ সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট। তবে দল বেঁধে বা একসঙ্গে বেশি লোক গেলে অবশ্যই চা বাগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়