নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

‘শুধু অডিওর মূল্য এখন নেই, ভিডিওর দরকার’

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায় সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পূজার প্রস্তুতি ও নতুন গান নিয়ে। সেই সাক্ষাৎকারেরই অংশ বিশেষ রইল মেলার পাঠকদের জন্য
লকডাউনের সময় নিজেকে কীভাবে ব্যস্ত রেখেছিলেন?
অনুপম : লেখালিখি, গান-বাজনা নিয়েই ছিলাম। ইউটিউবে নিয়মিত গান রিলিজ করেছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বই পড়তাম। কাজে ফিরছি ধীরে ধীরে। মুম্বাই গিয়ে ‘বব বিশ্বাস’-এর জন্য রেকর্ডিং করে এলাম। এর মধ্যে মালদায় একটা শো আছে। এতদিন পর স্টেজে পারফর্ম করতে পারব ভেবেই উত্তেজিত! এখন ‘মৃগনাভি’র রিলিজ নিয়ে ব্যস্ত।
প্রতি বছর পূজায় আপনার সিনেমার গান রিলিজ করে। সেই ধারা বজায় রাখতেই কি এবারের পূজায় নতুন সিঙ্গল?
অনুপম : হ্যাঁ, পূজায় যেহেতু নিয়মিত ছবি থাকে তাই আলাদা করে পূজার গান করতাম না। ২০১৪-এর পূজায় গানের অ্যালবাম ‘বাক্যবাগীশ’ বেরিয়েছিল। কিন্তু ওটা ‘চতুষ্কোণ’-এর জন্য চাপা পড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি কতটা বদলে গিয়েছে, ২০১৪ সালেও অ্যালবাম রিলিজ করেছিলাম, আর এখন সিঙ্গল! যে সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি, সেখানে ইতিবাচক কিছু দেখছি না। জীবন যেন থমকে গিয়েছে। সেখান থেকেই নতুন কিছু করার কথা মনে হয়েছিল। ‘মৃগনাভি’র পরিকল্পনার সময়ে পূজার ছবি ছিল না। এখন তো ‘বনি’ রিলিজ করছে।
এই গানটির কথা-সুর-কণ্ঠ আপনার। তারপরও মিউজিক ভিডিও করার দরকার পড়ল কেন?
অনুপম : শুধু অডিওর মূল্য এখন নেই, ভিডিওর দরকার। সংগীতের মহাসমুদ্রে রোজ একটা না একটা পাথর পড়ছে। আলোড়ন তুলতে না পারলে কারো নজরে পড়বে না। তাই অডিওর সঙ্গে ভিডিও যোগ করতে হচ্ছে।
অনেক শিল্পীই নিজের একাডেমি খুলেছেন। আপনার সে রকম কোনো ভাবনা আছে?
অনুপম : আমি নিজেই এখনো শিখে চলেছি। তবে আমার ইউটিউব চ্যানেলে নতুনদের অনেককেই সুযোগ দিয়েছি। নতুনদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করছে, তারা বেশি দিন বাংলায় থাকে না। এখানে গ্রোথের সুযোগ নেই। সবাই চায় উন্নতি করতে। ২০১০ সালে যে পারিশ্রমিক দেয়া হতো, এখনো সেটাই দেয়া হয়।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী দুটো ছবি ‘অতি উত্তম’, ‘এক্স=প্রেম’-এ আপনার গান নেই। এটা অনেককেই অবাক করেছে।
অনুপম : সৃজিতদা হয়তো এখন অন্য রকম কিছু করার পরিকল্পনা করছে। আমিও তো অন্য পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করি। সৃজিতদারও স্বাধীনতা আছে বাকিদের সঙ্গে কাজ করার। তবে যে দিন আমার গান লাগবে, সে দিন নিজেই বলবে। এটুকু বিশ্বাস আছে। ‘এক্স=প্রেম’ আমারই করার কথা ছিল। স্ক্রিপ্টও শুনেছি। তবে কেন করছি না, সেটা সৃজিতদা ভালো বলতে পারবে।
আপনি বিতর্ক থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু আপনার ‘চাকা’ গানটিতে যেভাবে রাজনীতি এসেছে তাতে আর আপনাকে সাবধানী বলা যাচ্ছে না।
অনুপম : চেষ্টা করতাম বিতর্কের বাইরে থাকার। নিজের মতো শান্তিতে কাজ করতে চাইতাম। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজ্যে যা ঘটেছে, সেগুলো আমাকে বিচলিত করেছে। ‘বাক্যবাগীশ’ অ্যালবামেই ‘চাকা’ গানটা ছিল। সেটাই এখনকার মতো করে বদলেছি।
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার পর আপনি ‘রাজনীতি-আদর্শ’ নিয়ে একটা টুইট করেছিলেন…
অনুপম : বিরক্তি থেকেই করছি। কাউকে টার্গেট করতে চাইনি। এটা একজন মানুষ করছেন না, সমাজের প্রতিফলন। দেশের অন্য রাজ্যে নেতা কেনাবেচা দেখেছি। পশ্চিমবঙ্গে এতটা বাড়াবাড়ি হতো না। বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু কদর্য বিষয় উঠে এলো, যেগুলো আগামী প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে খুব খারাপ। এই প্রজন্মের কাছে এমন কোনো রোল মডেল নেই যাকে দেখে তারা রাজনীতিতে আসবে। আমাদের সময়েও ছিল না। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখে কিছু ছেলে ক্রিকেট ব্যাট তুলে নিয়েছে। সুমন-অঞ্জন-নচিকেতাকে দেখে আমি গান বাঁধতে এসেছি। রাজনীতিতে সে রকম আইকন কোথায়?
শিল্পীদের রাজনীতিতে আসাটা কীভাবে দেখছেন?
অনুপম : খুব একটা ভালো চোখে দেখিনি। ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা নিয়েই যে অধিকাংশ এসেছেন, তা বোঝা যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে অনেক ব্যক্তি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ার বাইরে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাই মানুষের সেবা করার অজুহাত ধোপে টিকবে না।
কোনো রাজনৈতিক দল থেকে অনুষ্ঠান করতে বললে করবেন?
অনুপম : অনেক কলেজে ছাত্রসংগঠন থেকে শোয়ের আয়োজন করা হয়। কোনো ইউনিয়নের জন্য যাচ্ছি ভাবলে মুশকিল। আমি যাচ্ছি ওই কলেজটার জন্য, যেখানে সাধারণ পড়–য়ারাও শামিল। রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে আজ অবধি আমাকে গাইতে দেখা যায়নি, যাবেও না।
:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়