নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

মুহিবুল্লাহ হত্যায় রোহিঙ্গা যুবক লম্বা সেলিম গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ প্রকাশ লম্বা সেলিম (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন সদস্যরা। এর সত্যতা নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মো. নাইমুল হক জানান, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ জানান, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই জড়িতদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব শাখা একত্রিত হয়ে অভিযান শুরু করে। গতকাল দুপুরে সন্দেহভাজন এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করে এপিবিএন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের লম্বাশিয়ায় অবস্থিত আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউমেন রাইটস (এআরএসপিএইচ) কার্যালয়ের সামনে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া থানায় মামলা করেন তার ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ। এর আগে সন্ধ্যায় লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১, ইস্ট ২ নম্বর কেন্দ্রে জানাজা শেষে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
১৯৯২ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মুহিবুল্লাহ ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি মিয়ানমারের মংডুর সিকদারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফজল আহমদ, মায়ের নাম উম্মুল ফজল। তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে মুহিবুল্লাহ ছিলেন সবার বড়। মুহিবুল্লাহ বিবাহিত এবং ৯ সন্তানের জনক। মিয়ানমারে থাকতে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সেই সূত্রেই তাকে ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ’ নামে ডাকা হতো। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা শিবিরে মহাসমাবেশ করে আলোচনায় আসেন মুহিবুল্লাহ। একই বছরের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১৭ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে ২৭ জন প্রতিনিধি অভিযোগ দেন মুহিবুল্লাহ ছিলেন তাদের একজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়