নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

পাটের ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি চাষিরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রংপুর : জেলার পীরগঞ্জে আশানুরূপ বাজারমূল্য না থাকায় বেশ কয়েক বছর আগেই দেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাট তার অতীত ঐতিহ্য হারিয়েছিল। তবে বিশ্বে পাটের কদর বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা বাজারমূল্য পাচ্ছেন আশানুরূপ। ফলে পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের। বিগত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে পাট চাষ বেড়েছে গোটা উপজেলায়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশা-নিরাশার দোলাচলে প্রতি বছর লাভ-ক্ষতির হিসাব না করেই পাট চাষ করেন উপজেলার কয়েকশ কৃষক। শুরু থেকে উৎপাদন খরচ বেশি ও পাটগাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর শ্রমিক সংকটের মধ্যে কাক্সিক্ষত দাম না পাওয়ায় হতাশ ছিলেন তারা। বর্তমানে পাটের বাজারদর বৃদ্ধিতে আশাতীত মূল্য পেয়ে খুশি উপজেলার পাটচাষিরা।
পীরগঞ্জ উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না খাতুন বলেন, সোনালি আঁশ খ্যাত পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ ফিরে আনতে গত বছর ২ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়। চলতি বছর কৃষকের আগ্রহ এবং উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ২ হাজার ৯০০ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। এ মৌসুমে পাটের ভালো ফলন ও মূল্য পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। বাজারদর এ রকম থাকলে পাট চাষে আরো আগ্রহী হবেন অনেকেই। কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন চাষিরা। পাটচাষি কিশোরগাড়ীর হবিবর, লালচান পুরের আসাদুল, রামপুরার আলী আসগর, সোললায়মান আলী, রওশনপুরের মোকসেদ আলী সরকার জানান, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবারে পাটগাছ লম্বা হতে দেরি হয়েছে।

পরে বৃষ্টি হওয়াতে শুধু পাটগাছ বড় হয়েছে। আঁশ তেমন মোটা না হওয়ায় ফলন একটু কম হয়েছে। তবে দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হয়েছি। এ রকম বাজার থাকলে আগামীতেও পাট চাষ অব্যাহত থাকবে।
উপজেলার ভেণ্ডাবাড়ী ইউনিয়নের পাটচাষি আব্দুল মালেক জানান, গত বছরে প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি একরে ফলন হয়েছে ১৬ থেকে ২২ মণ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে তোষা এবং দেশি পাট চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৮০০ টন। পাট একটি পরিবেশবান্ধব অর্থকরী ফসল এবং পাটের বহুবিধ ব্যবহারের ফলে বিশ্ববাজারে পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ায় ভালো মূল্য পাওয়া যাচ্ছে। ফলে নতুন অনেকেই পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়