নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

নারী সমাজকে এগিয়ে নিচ্ছে শ্রীমঙ্গলের মার্শাল আর্ট স্কুল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : শ্রীমঙ্গলে নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে রিয়াজ উদ্দিন নামে এক কুংফু কারাতের মাস্টার চালু করেছেন মার্শাল আট স্কুল। যার নাম দিয়েছেন শ্রীমঙ্গল মার্শাল আর্ট একাডেমি। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর তাকে নানা প্রতিবন্ধকতায় ভুগতে হয়েছে। অনেকেই শুরুতে এতে অনীহা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। কিন্তু নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ওই প্রতিষ্ঠানটি সাহসী নারী শক্তির প্রতীক হয়ে উঠছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ উদ্দিন জানান, প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে তার অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছে রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গল ও পল হ্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। তিনি জানান, এই বিদ্যাটি শিখেছেন। হয়েছেন কালো ব্লেটের অধিকারী। কিন্তু নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু করতে পারছিলেন না। বর্তমানে শ্রীমঙ্গলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এ অবস্থায় কয়েকজন মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গল ও পল হ্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মাঠটি ব্যবহারের জন্য অনুমতি পান। এরপর এক-দুজন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে থাকে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর উপরে। যার মধ্যে বেশিরভাগই মেয়ে।
রিয়াজ জানান, তিনি মেয়েদের প্রাধান্য দিচ্ছেন, কারণ এটি মেয়েদের আত্মরক্ষার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হতেও সহায়তা করে। যিনি মার্শাল আর্ট শিখবেন তিনি নিজেকে একজন সাহসী মেয়ে হিসেবে ভাবতে পারবেন। একজন মার্শাল আর্ট জানা মেয়ে সমাজে আরো ১০টি মেয়েকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে তার বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে রোটারি ক্লাব শ্রীমঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রিপন জানান, প্রতিষ্ঠানটি গড়ার সময় স্কুলে শিক্ষার্থী হবে না বলে অনেকটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন রিয়াজ। কিন্তু এখন এটি আলোর মুখ দেখেছে।
এ ব্যাপারে মার্শাল আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থী তমিস্রার বাবা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, চীন, জাপান ও কুরিয়ায় কুংপু কারাতকে উপাসনার জায়গায় নিয়ে গেছে। এর বহুমুখী উপকার রয়েছে। বিশেষ করে এটি যদি নারীরা রপ্ত করতে পারে তবে তা হবে নারীদের সামাজিক এক বিপ্লব। এর দ্বারা নারীরা আত্মরক্ষার কৌশল জানবে, সমাজকে কুসংস্কার থেকে দূরে রাখতে পারবে। এটি ব্যায়ামের কাজও করবে। এতে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এরা নিজেদের দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
বিএমএ শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি ডা. হরিপদ রায় জানান, তার বাসার পাশেই এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। সুযোগ পেলে তিনি তাদের স্কুল পরিদর্শন করেন। ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গল মার্শাল আর্ট একাডেমির দক্ষতা অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রথম বেল্ট পরিধান, সার্টিফিকেট বিতরণ ও স্মারক প্রদান করা হযেছে। এতে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়েছে।
পল হ্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজ রুহিন জানান, মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণের পারদর্শিতায় দেয়া হয় সাদা, হলুদ, কমলা, সবুজ, নীল, বাদামি ও কালো রঙের বেল্ট। আর এ মার্শাল আর্ট একাডেমির বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী ইতোমধ্যে হলুদ ও কমলা, সবুজ ও নীল রঙের বেল্টের অধিকারীও হয়েছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের তা পরিয়ে দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়