নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে ঋতু পরিবর্তনজনিত জ¦র-সর্দি ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনই জ¦র-সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অসংখ্যা রোগী। তাদের মধ্যে যার বেশির ভাগই শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন, ঋতু বদলের কারণে প্রকৃতিতে কখনো ভ্যাপসা গরম, কখনো ঠাণ্ডা। ঠাণ্ডা গরমের এই আবহাওয়ার কারণে ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় করোনার এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ানো এবং খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার ২০০ জন। যার বড় অংশই হচ্ছে শিশু। মোট আক্রান্তের মধ্যে ১ হাজার ৫৯১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও বাকি ৬০৯ জন এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে দেখা যায়, চট্টগ্রামের ১১টি জেলায় চলতি মাসে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে প্রায় ২১ হাজার। চমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের প্রধান ডা. জগদীশ দাশ বলেন, এই মৌসুমে সব সময় ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা ভর্তি হয়ে থাকে।
বেশ কিছু দিন ধরেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেও গত সপ্তাহ ধরে শিশু ওয়ার্ডে পানিবাহিত ও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই পরিস্থিতি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালেও। মা ও শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জন শিশু জ¦র নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুর সংখ্যাই বেশি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, গরমের শেষ। শীতের শুরু। এই ঋতু বদলের সময় ভাইরাল ফিভার ঘরে ঘরে দেখা দেয়। চমেক হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১৮০ থেকে ১৯০ জন শিশু রোগী আসছে। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ জ¦রের রোগী থাকছে। আমরা এ জ¦রকে ভাইরাল ফিভারই মনে করছি। জ¦রের সঙ্গে সর্দি থাকছে। এছাড়া চমেক হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশু রোগীও আসছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঠাণ্ডাজনিত অনেক রোগের সঙ্গেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও ক্রমেই বেড়েই যায়। এ সময়ে প্রতি বছরেই এমন হয়ে থাকে। এ সময় অবশ্যই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি যতœশীল থাকতে হবে। পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হলে শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বারবার খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়