নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

গুরুদাসপুরে মাদ্রাসার মাঠ দখল করে বালু ব্যবসা!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : খেলার মাঠজুড়ে বালুর স্তূপ। সেই বালুর সঙ্গে উঠে আসা পানিতে শ্রেণিকক্ষের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কাদা আর পানিতে একাকার হয়েছে শ্রেণিকক্ষ ও বারান্দা। এতে করে মাদ্রাসায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও পারছে না খেলাধুলা করতে। গুরুদাসপুরের নাজিরপুর আলিম মাদ্রাসায় চলছে ওই পরিস্থিতি। ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শওকত রানা লাবু প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসা মাঠটি দখল করে বালুর ব্যবসা করছেন। লাবু নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সরকারি ঘর টাকার বিনিময়ে দরিদ্রদের দেয়ায় এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও রয়েছে। হাজতও খেটেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিক্রির জন্য ট্রলারে করে আনা বালি ওই মাঠে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। স্তূপের এসব বালি ট্রলিতে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। মাঠজুড়ে এভাবে বালি রাখায় মাদ্রাসার ৩টি ভবনের অন্তত ৫টি শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়ছে। কাদা-পানিতে একাকার শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। শুধু শ্রেণিকক্ষ আর বারান্দাতেই এই সমস্যা হচ্ছে তা নয়। মাদ্রাসার দুটি প্রবেশ মুখও বালিতে বন্ধ হয়ে গেছে। মাদ্রাসার আঞ্জুম তাসনিম, আকরাম আলী, রঞ্জুসহ অন্তত ১০ শিক্ষার্থী জানায়, করোনার জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাদ্রাসাটি খুললেও ওই অবস্থাতেই বুধবার থেকে মাঠে বালু ফেলা শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নিজেই। মাঠজুড়ে বালির বড় স্তূপের কারণে শ্রেণিকক্ষের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে গিয়ে কাদা-পানিতে নষ্ট হচ্ছে পোশাক।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হক জানান, মাঠজুড়ে বালু ফেলায় উত্তর পাশের প্রবেশ মুখ বন্ধ হয়েছে। আবার দক্ষিণ পাশের প্রবেশ মুখেও বালির স্তূপ থাকায় শিক্ষার্থীরা নির্বিঘেœ মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে পারছে না।
তাছাড়া মাদ্রাসার উত্তর পাশের ৫টি শ্রেণিকক্ষের বাড়ান্দায় পানি ওঠায় পাঠদান এবং চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। সভাপতি নিজেই মাদ্রাসা মাঠে বালি রাখায় তিনি অধ্যক্ষ হলেও কিছু বলতে পারছেন না।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু বালু ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাময়িক দুর্ভোগ হলেও মাদ্রাসা মাঠেও কিছু বালু দেয়া হবে।

গুরুদাসপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এয়াহেদুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। এই দীর্ঘ বিরতির পরও যদি নানা কারণে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ হয় তা দুঃখজনক। সভাপতি হয়ে মাদ্রাসা মাঠে বালু রেখে তিনি ঠিক করেননি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়