নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

আলহাজ মকছুদ মিয়া মেয়র, মহেশখালী পৌরসভা > সব এলাকার উন্নয়ন করা আমার দায়িত্ব

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী (কক্সবাজার) থেকে : মেয়র হিসেবে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডই আমার ওয়ার্ড। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তারাও পৌরসভার নাগরিক, যারা ভোট দেননি তারাও আমার নাগরিক। সব এলাকার উন্নয়ন করাই আমার দায়িত্ব। সবাইকে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে একটা ডিজিটাল ও মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পৌরসভা নিয়ে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি জানান মহেশখালী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ মকছুদ মিয়া।
মেয়র পদে নির্বাচনে জয়ের হ্যাট্রিক করা এই জনপ্রতিনিধি বলেন, আমাকে মহেশখালী পৌরবাসী আবারো তাদের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমি সবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। নির্বাচনের আগেও আমি পৌরসভার পানি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলাম। এখন আমার প্রথম কাজ পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করা এবং পৌরসভাকে লাইটিং করে আলোকিত করা। আর এর জন্য আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাব। পানি সমস্যার সমাধান ছাড়াও আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে পৌর শহরের বাকি রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে চান তিনি। আর এ ক্ষেত্রে আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সব কিছু বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় তার।
তিনি বলেন, পৌরবাসীকে পানির জন্য বর্তমানে একমাত্র ভূগর্ভস্থ পানির উপরই নির্ভর করতে হয়। তাই সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট সমাধানে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুত এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুপেয় পানির জন্য আর কষ্ট করতে হবে না পৌরবাসীকে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত

হয়েছেন। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরওয়ার আজম বিএ পান ৫ হাজার ৪৫৮ ভোট।
এ পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ২০ হাজার ৪২৭ জন। তার মধ্যে পুুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৭৯৯ ও নারী ভোটার ৯ হাজার ৬২৮ জন।
২০০২ সালের র্মাচে যাত্রা শুরু করা মহেশখালী পৌরসভা বর্তমানে প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা উল্লেখ করে আলহাজ মকছুদ মিয়া বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মহেশখালী পৌরসভায় সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াব। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পৌরবাসীর সেবাপ্রাপ্তি সহজ করতে নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিতে চাই।
মহেশখালীর গোরকঘাটার ঐতিহ্যবাহী সিকদার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ মকছুদ মিয়া তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুল দিয়ে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ২০০৫ সালে। তিনি বলেন, ছেলেবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি ঝোঁক ছিল অনেক। পরিবারের অন্য সদস্যরা রাজনীতির মাঠে থাকায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিকের হাত ধরে শুরু হয় মহেশখালীর মাঠের রাজনীতি। তিনি আরো বলেন, আমার সারা জীবনের প্রাপ্তি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন। বঙ্গবন্ধু ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা নিয়ে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারা আমার জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের ছিল।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক জীবনে যত অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি, সব ভুলে গেছি নৌকা প্রতীক পেয়ে। এই প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের চেয়ে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। কারণ স্থানীয় সরকারে থাকা জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ বেশি পান। তার মতে, মূলত স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাজের প্রতিফলন হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এজন্য এই খাতে সরকারের বরাদ্দ আরো বাড়ানোর আহ্বান তার।
আগামী পৌর নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময়ই বলে দেবে কী করতে হবে। এখন এসব নিয়ে ভাবছি না। তবে, সব সময় দল ও জনগণের পাশে থাকতে চান বলে জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়