হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ড : ৩ মাস পর দগ্ধ ছেলের মরদেহ পেলেন বাবা

আগের সংবাদ

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র-অর্থের উৎস কী

পরের সংবাদ

রায়হান হত্যা মামলা : পাঁচ পুলিশসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট ব্যুরো : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মোমেনের আদালতে চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানি হয়। শুনানি শেষে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
চার্জশিটে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- বন্দর বাজার ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। শুনানি শুরুর আগে কারাগারে থাকা পাঁচ পুলিশ সদস্যকেই আদালতে হাজির করা হয়। কথিত সাংবাদিক নোমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক প্রদীপ কুমার।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী ভোরের কাগজকে জানান, অভিযোগপত্র শুনানি শেষে আদালত তা গ্রহণ করেছেন। এ সময় মামলার বাদী ও মূল আসামি আকবরসহ পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কেবল নোমান নামের এক আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এদিকে আসামি নোমান এখনো পলাতক থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আকবরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য ধরা পড়লেও নোমানকে কেউ ধরতে পারছে না। তাহলে কি নোমান প্রশাসন থেকেও বুদ্ধিমান। এই নোমানকে না ধরতে পারলে আমার ‘জান’ শান্তি হবে না। আমি চাই তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হোক।
এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকা থেকে রায়হানকে তুলে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এরপর রাতভর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়। আলোচিত এ মামলায় চলতি বছরের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। তবে দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকায় এত দিন শুনানি হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়