হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ড : ৩ মাস পর দগ্ধ ছেলের মরদেহ পেলেন বাবা

আগের সংবাদ

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র-অর্থের উৎস কী

পরের সংবাদ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চুল কাটা কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট > চুল কাটা শিক্ষকের অব্যাহতির দাবিতে চলছে আমরণ অনশন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল কুদ্দুস, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়ার প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনও অনশন অব্যাহত ছিল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের চুল কাটা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল শিক্ষার্থীদের রবির একাডেমিক ভবন শাহজাদপুর বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও কান্দাপাড়া প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। অনশনরত হাবিব রহমান ও মাজেদুর রহমান নামের দুই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর ফের ক্যাম্পাসে এসে অনশনে যোগ দেন।

ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্ররা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনশনের দ্বিতীয় দিন কোনো শিক্ষক তাদের দেখতে আসেননি। তবে বিশ্ববিদ্যায়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী জানান, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, বুধবার রাতে অনশনরত ছাত্রদের শিক্ষক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিসিক অস্থায়ী ক্যাম্পাসে দেখতে যান। তবু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিলে ভিসিসহ শিক্ষক-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের চুল কাটা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চুল কাটার ঘটনায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এছাড়া সারাদেশে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। এর আগে বুধবার এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষক তিনটি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়