চিকিৎসকের অবহেলা : জুডো খেলোয়াড় প্রিয়াংকার মৃত্যু

আগের সংবাদ

সুদিন ফিরছে সোনালি আঁশের

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত জমিতে ড্রাগন ফল চাষে সফলতা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : সদর উপজেলার গড়েয়ায় বাড়ির পাশে ৬০ শতক পরিত্যক্ত জমিতে মালটা ও ড্রাগন ফল চাষ করে স্বাবলম্বী গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সাদেকুল ইসলাম আবু জাফর।
তিনি জানান, প্রায় চার বছর আগে ইউটিউবে মালটা ও ড্রাগন ফল চাষ করার ভিডিও দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়ে পরীক্ষামূলকভাবে তার বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৬০ শতাংশ জমিতে মালটা ও ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর লাভের মুখ দেখতে না পেলেও পরের বছর সফল হন তিনি। বাণিজ্যিক আকারে চাষাবাদের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে শুরু করেন ফলের বাগান। যদিও ড্রাগন ও মালটা ফলের চাষ তার কাছে একেবারেই নতুন ছিল। শুরুর দিকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হয়। যদিও সেই সময় নিজের প্রতি তেমন ভরসা ছিল না। তবে মনে ছিল সফলতার স্বপ্ন। আজ যেন তার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বাগান করার দুই বছরের মধ্যেই খরচের টাকা উঠে লাভ আসতে শুরু করে। বর্তমানে বাগান করে তিনি যেমন সফল, তেমনি তাকে দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে বাগান করার আগ্রহ বেড়েছে।
সরজমিন দেখা যায়, নিয়মিত পরিচর্যা, সেচ ও জৈব সার ব্যবহারে অল্প দিনেই বেড়ে উঠে তার বাগানটি। নিজের জমিতে লাগানো ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত এই প্রভাষক। যদিও বাগানটি দেখাশোনার জন্য একজনকে রাখা হয়েছে। তারপর তিনি নিজেও বাগানের পরিচর্যা করেন। এলাকাবাসীসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই তার বাগান দেখতে ও পরামর্শ নিতে ছুটে আসেন।
স্থানীয় খায়রুল ইসলাম জিয়া বলেন, প্রভাষক সাদেকুল ফলের বাগান করে আমাদের এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি একই জমিতে মালটাসহ বেশকিছু ফলের চাষ করেছেন। তার সফলতা দেখে আমরা আনন্দিত। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আব্দুর সাত্তার বলেন, প্রভাষক সাদেকুল ইসলাম আমাদের এলাকায় ফলের বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার কাছ থেকে আমরাও অনেক কিছু শিখেছি। ড্রাগন ও মালটা ফল চাষ করে এতটা লাভবান হওয়া যায় তা জানা ছিল না। প্রভাষক আবু জাফর বলেন, মালটা ও ড্রাগন ফলের পাশাপাশি একই বাগানে পেঁপে ও দেশি আদা, মরিচসহ বিভিন্ন ফল চাষ করি। গত বছর এক লাখের বেশি টাকার ফল বিক্রি করেছি। এ বছর মালটার দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় আশা করি আরো অধিক লাভবান হব।

এ ধরনের বাগানের মাধ্যমে সমাজের বেকারত্ব অনেকটাই কমে আসবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন যে কেউ। যদি কেউ তার বাসার ছাদে কিংবা বাসার পাশে পরিত্যক্ত জমিতে এমন বাগান করে তাহলে পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও সফল হবেন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পের আওতায় আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। মালটা বা লেবু জাতীয় ফলে যেহেতু অল্প খরচে চাষিরা বেশি লাভবান হন, তাই এ ফল সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের কৃষির উন্নয়ন হবে বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়