কাগজ ডেস্ক : তালেবান কাবুল দখলে নেয়ার প্রেক্ষাপটে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির দেশ ছাড়ায় তাকে ‘কাপুরুষ’ অভিহিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করছেন দেশটির নাগরিকরা। তালেবান বাহিনী প্রায় বিনা বাধায় রবিবার কাবুলে প্রবেশের পর রাতে ফেসবুক পোস্টে গনি জানান, ‘সংঘাত এড়ানোর জন্যই’ তিনি কাবুল ছেড়েছেন।
বিবিসি জানায়, গনির দেশত্যাগের খবরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় ব্যর্থতার জন্য তাকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাগরিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান এক টুইটে প্রেসিডেন্ট গনির সমালোচনা করে বলেন, আমাদের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে জন্মভূমিকে বিক্রি করে দিয়েছে জঘন্য ওই ধনী ব্যক্তি আর তার দল। তার এই টুইটে দুই হাজারের বেশি লাইক দেখা গেছে। এর ৩ ঘণ্টা আগেই তিনি আফগানিস্তানের জনগণকে আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, রাজধানী কাবুলকে রক্ষা করবে প্রতিরক্ষা বাহিনী। ভারতে আফগান দূতাবাসের একটি টুইটেও আশরাফ গনির তীব্র সমালোচনা করা হয়। পরে অবশ্য ওই পোস্টটি মুছে ফেলা হয় এবং দূতাবাসের প্রেস সচিব জানান, তাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে।
কাবুলে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক শরীফ হাসান টুইটে বলেন, তিন মাস আগে তালেবানের সঙ্গে ভালো একটি চুক্তিতে আসতে পারতেন গনি। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন তিনি পালিয়ে গেছেন। তালেবানবিরোধী আফগান জনগণকে তার ভুলের খেসারত দিতে হবে। এটা খুবই অন্যায্য। আফগান জনগণ কখনো গনি এবং তার দুই চাটুকার (দুই উপদেষ্টা) মহিব ও ফজলেকে ক্ষমা করবে না। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে আফগানিস্তানের বেশির ভাগ এলাকা দখল করে রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে তালেবানরা। এরপর ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ বিষয়ে তালেবানের সমঝোতার আলোচনার মধ্যেই বিকালের দিকে জ্যেষ্ঠ সহযোগীদের নিয়ে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হন গনি। তবে সেদেশ তাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে। তার উজবেকিস্তানে আশ্রয় নেয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।