অশ্রুডানায় সূর্য খোঁজার পালা

আগের সংবাদ

শূন্য অর্থনীতি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল

পরের সংবাদ

সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা রহস্য

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মূল রহস্য ও মূল নায়কগণ আজো অনুদ্ঘাটিত। তাঁর হত্যাকারী এবং তাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগীদের বক্তব্য ছিল যে, শেখ মুজিব স্বৈরাচারী ছিলেন এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। তিনি সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের জন্য মুষ্টিমেয় ক’টি ছাড়া বাকি সব সংবাদপত্র বন্ধ করেছিলেন। আরো বলা হতো মুজিব ২৫ বছর মেয়াদি ভারত-বাংলাদেশ গোলামি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের কাছে তথা হিন্দুদের কাছে বিকিয়ে দিয়েছিল। বলা হচ্ছিল যে, ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় নাকি তিনি এবং তার পরিবার তৈরি করেছিল। মুজিব নাকি সেনাবাহিনীকে বিলুপ্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিলেন এবং রক্ষীবাহিনীতে ভারতীয়দের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। বাঙালি মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাতের জন্য এ কথাও প্রচার করা হয়েছিল যে, মুজিব হিন্দু ছিল; পাকিস্তানকে টুকরো টুকরো করার জন্য তাকে ভারত থেকে এখানে পাঠানো হয়েছিল। দেশে-বিদেশে গোলাম আযম ও তার ঘাতক সহযোগীরা প্রচার করেছিল যে, মুজিব বাংলাদেশের বহু মসজিদ ভেঙে দিয়েছিল ও আলেমদের হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল; সে হিন্দুদের জায়গা জমিই ফেরত দেয় নাই, হাজার হাজার হিন্দু এসে মুসলমানের বাড়িঘর দখল করেছে এবং নির্বিচারে মুসলমান হত্যায় অংশ নিয়েছে।’ মৌলবাদী সা¤প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট দক্ষিণপন্থিদের সাথে সুর মিলিয়ে সমাজের একটি কথিত প্রগতিশীল অংশও সশস্ত্র পন্থায় মুজিব সরকারকে উৎখাতের জন্য অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল। এসব কথা কিন্তু প্রচার মাধ্যমে কিংবা অন্য কৌশলে হাওয়ায় ভাসিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার যৌক্তিকতা হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। হয়তো সাধারণ মানুষ এসব কথায় কান দেয়নি, কিন্তু যাদের পেটে কিছু বিদ্যাবুদ্ধি ছিল তাদের অনেকেই এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছিল। সেদিন কেউ কেউ আসল কথাটা বুঝলেও গোয়েবলসীয় অপপ্রচারে নতুন প্রজন্ম মুজিব হত্যার গূঢ় রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছিল।
নতুন ও পুরনো প্রজন্ম আবেগ বিবর্জিত মানসিকতা দিয়ে আজ বুঝতে শিখেছে যে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার যৌক্তিকতা হিসাবে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সত্যের নিরিখে তো বটেই; যুক্তির নিরিখেও তলিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু স্বৈরাচারী ছিলেন এ অপবাদে যদি তাকে হত্যা করা হয়ে থাকে তাহলে ’৭৫ থেকে ’৯২ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান সপরিবারে নিহত হবার কথা ছিল। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন সেদিনও বলবত ছিল। বলবত ছিল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি। এসব যদি এতই খারাপ ছিল তাহলে পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারগুলো তা বাতিল করেনি কেন?
খালেদা জিয়ার জোট আমলে যখন সংবাদপত্রকে হাতে নয়, ভাতে মারা হচ্ছিল, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের গরুপেটা করা হচ্ছিল, কথায় কথায় সাংবাদিকের হাতে হাতকড়া পড়ছিল, তখন প্রবীণ সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর কথায়ই মনে পড়ে। একবার তিনি ক্ষোভে-দুঃখে বলেছিলেন, ‘আইয়ুব-মোনায়েম আমল থেকে শুরু করে বাকশাল আমলে আমার যে হাতে হাতকড়া পড়েনি সে হাতে; সে হাতকড়া পড়ল জিয়ার আমলে।’
বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ হলো রক্ষীবাহিনীতে ভারতীয়দের অন্তর্ভুক্ত করা। ১৯৭৫ সালে রক্ষীবাহিনীকে সেনাবাহিনীতে একীভূত করা হয়েছিল। আমার জানা মতে, সেদিন কেউ চাকরি হারায়নি। এর মাঝে কয়জন ভারতীয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সে পরিসংখ্যান কেউ জানাবেন কি? দুর্ভাগ্য আমাদের; রক্ষীবাহিনীর পোশাক ও ভারতীয় বাহিনীর পোশাক এক ছিল বলে তা যে বিভ্রান্তকারী প্রচারণায় বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি করতে পারে তা তখন ভেবে দেখার ফুরসত কারও ছিল না।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মুজিব দেশ স্বাধীন করলেন, জাতির পিতা হলেন তা কি সহ্য করা যায়? আন্তর্জাতিক মোড়লদের উপেক্ষা করার কারণে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ আনা হলো এবং বাংলাদেশকে বিশ্বে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে প্রচার করা হলো। আমরা যারা এসব বুঝতাম তাদের জিহ্বাও আড়ষ্ট হয়েছিল। আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী, প্রাপ্তি ছিল সে তুলনায় কম। তার যৌক্তিক কারণ থাকলেও মোহভঙ্গ বা স্বপ্ন ভঙ্গের কারণে অনেকের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আক্রোশের বস্তুতে পরিণত হয় বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারবর্গ এবং তার নিকটতম সহকর্মীবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পদের পাহাড় সৃষ্টির অভিযোগ আছে। আমাদের চোখে পাহাড় আড়াল হবার কথা, জনতার চোখে কিন্তু একটি টিলাও চোখে পড়েনি। বাসন্তীকে নিয়ে যে নাটক সাজানো হয়েছিল; জাতির একটি নির্বোধ অংশ ও সে নাটকের গূঢ় রহস্য উদঘাটন করেছে। শাড়ির ছিল না বলে বাসন্তী সেদিন জাল পরেছিল। কিন্তু একবারও কারও মাথায় এ কথা এলো না যে, সেকালে একটি জালের দামে কয়টি শাড়ি কেনা যেত? আসলে আমাদের তখন সত্য-মিথ্যা ফারাক করার ক্ষমতা লোপ পেয়েছিল।
নিঃসন্দেহে তাই বলা যায়, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা ছিল বাংলাদেশকে হত্যার দেশি-বিদেশি নীলনকশার প্রাথমিক পদক্ষেপ। তারা জানত ভৌগোলিক বাংলাদেশকে পাকিস্তানে রূপান্তর অসম্ভব। তাই তাদের লক্ষ্য ছিল আদর্শিক বাংলাদেশের বিনাশ। তাদের বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ও সবান্ধব হত্যা না করে আদর্শিক বাংলাদেশকে ধ্বংস করা অসম্ভব। এ শিক্ষা তারা মুক্তিযুদ্ধকালে গ্রহণ করেছিল। ১৯৭১ সালের দীর্ঘ ন’মাস বঙ্গবন্ধু আমাদের সাথে না থাকলেও যুদ্ধ একদিনের জন্যও থেমে থাকেনি, বঙ্গবন্ধু প্রেমিকরা বঙ্গবন্ধুর বদলে কনফেডারেশনের দাবিতে কান দেয়নি।

নেতার চেয়ে নেতার আদর্শকে সামনে রেখে এ জাতি লড়েছে- জয়ী হয়েছে। এই শিক্ষা কুচক্রীদের নখদর্পণে ছিল বলে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠদেরও হত্যা করেছে। তারপর দু’দশকেরও বেশি সময় বাংলাদেশে কী ঘটল? সেদিন বঙ্গবন্ধু বা তার সুযোগ্য সহকর্মীরা ঘাতকের হাতে নিহত না হলে বাঙালি জাতি কলমের খোঁচায় বাংলাদেশি হয়ে যেত না। বাংলাদেশ বেতার রেডিও বাংলাদেশ হতো না, জয়বাংলা স্লোগানের বদলে ঘাতকের অনুকরণে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ হতো না, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর চেতনা তথা জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের বিনাশ সাধন করা যেত না, দুঃখী মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে পুঁজিপতি ও লুটেরাদের স্বর্গরাজ্য সৃষ্টি করা যেত না, সাম্প্রদায়িকতা, ফ্যাসিবাদ ও মৌলবাদ বিকশিত হতে পারত না। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় মানুষ বাঙালিকে পাকিস্তানি আদলে সাম্প্রদায়িক ও নিষ্ঠুর বাংলাদেশিতে পরিণত করা যেত না। বঙ্গবন্ধু নিহত না হলে অর্থ ও অস্ত্র শিক্ষাঙ্গন, সমাজ জীবন ও রাজনীতিতে পরিব্যাপ্ত হতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বাংলাদেশ ছেয়ে যেত না। বঙ্গবন্ধু নিহত না হলে সভ্য-ভব্য মানবতাবাদী বাঙালির এমন দৈন্যদশা ও দানবীয় রূপ প্রকাশ পেত না।
ঘাতকদের ব্যক্তিগত বা শ্রেণিগত আক্রোশ ছিল বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে; বাকশাল গঠনকে তারা উছিলা হিসাবে বেছে নিয়েছিল। বাকশাল যদিও ছিল সর্বদলীয় শাসন ব্যবস্থা এবং বলতে গেলে গণতন্ত্রে জরুরি অবস্থা তবুও ঘাতক দল তাদের দেশি-বিদেশি সহযোগী, উঠতি ধনী মুৎসুদ্দি ও যুদ্ধাপরাধীদের স্বার্থে এ ব্যবস্থাকে প্রতিহত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ও তার যোগ্য সহকর্মীদের হত্যা করল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনচেতা মনোভাব ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি তাকে নিকটতর বন্ধুদের কাছেও অপ্রিয় করে তুলেছিল। তিনি ঘোষণা দিলেন, ‘আমার ভাগ্য যদি চিলির আলেন্দের মতো হয় তবুও আমি সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাথা নত করব না’। এরপরও বঙ্গবন্ধুর হত্যার গূঢ় সহস্য উদঘাটনে বাকশাল ব্যবস্থার প্রতি একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি দেয়া যায় কি?

১৯৭৫ সালে বাকশাল ব্যবস্থার গোড়াপত্তন করা হয়। সেদিনে বাকশালের বিরুদ্ধে দু’একজন প্রতিবাদ করলেও অতি সরব উচ্চারণ কেউ করেনি। পক্ষান্তরে বাকশালে যোগদানের জন্য ইঁদুর দৌড় ও অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাটাই চোখে পড়েছে। সংসদে বাকশাল ব্যবস্থার পক্ষে সিদ্ধান্তের পর এবং বাস্তবায়নের কর্মসূচি শুরুর পূর্বেই সপরিবার ও সবান্ধব বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর হত্যাকে ‘জায়েজ’ বা গ্রহণযোগ্য করার জন্য অন্যতম হাতিয়ার ছিল বাকশাল ব্যবস্থার দোষ-ত্রæটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি। এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য ছিল যে, ‘যে বীজের চারাই গজাল না, যে গাছ বর্ধিষ্ণু হলো না কিংবা গাছে ফলই ধরল না সেই ফলকে কীভাবে বিষফল বলা যায়?’ বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগেই বাকশাল ও বাকশালের প্রবক্তাদের নির্মূল করার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো বঙ্গবন্ধু হত্যা রহস্য অন্যত্র। বঙ্গবন্ধুর কথাই উদ্ধৃত করছি, ‘পৃথিবী আজ দু’ভাগে বিভক্ত : শোষক আর শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে।’ বঙ্গবন্ধুকে কেন সপরিবারে হত্যা করা হলো তার জন্য এরপর কোনো আর কোনো যুক্তি প্রমাণের আবশ্যক হয় না। তবুও কূট তর্ক কিংবা কূযুক্তির জবাব দেয়া সচেতন ও সত্যাশ্রয়ী নাগরিকের অত্যাবশ্যক কর্তব্য।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাকশালকে বলা হলো একদলীয় স্বৈরশাসন। বলতে গেলে নিরন্তর তার দোষ-ত্রæটিকে তুলে ধরা হয়েছিল। এখনও এই বাজনাই বাজছে না, তা নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম-মৃত্যু দিন এলে বাকশাল প্রসঙ্গ বেশি বেশি আসে। বিএনপি ও তার সমর্থকরা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলেন। তাহলে জিয়াউর রহমান শাসন ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে একদলীয় গণতন্ত্র ছিল এবং এই একদলীয় গণতন্ত্রের নাম ছিল বাকশাল। তাহলে যুক্তির তোড়ে প্রমাণিত হচ্ছে যে, বাকশাল একদলীয় শাসন ব্যবস্থা হলেও তা স্বৈরতন্ত্র ছিল না। আরও বাস্তব প্রমাণ হিসেবে কতিপয় জিনিস উল্লেখ করা যায়। এক. বাকশাল ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা হয়। সংসদের প্রায় শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে সংবিধান সংশোধন করে বাকশালের পত্তন হয়। দ্বিতীয়ত. বাকশাল ব্যবস্থার পর সংসদ চলমান থাকে এবং পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের যে রূপরেখা দেয়া হয়েছিল তাতে একদলের অভ্যন্তরে বহুপ্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার সুযোগ ছিল। বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর একটি নির্বাচনে সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাইও একজন স্কুলশিক্ষক প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিল। নির্বাচনের খরচ হয়েছিল যৎসামান্য। তাতে সামান্য স্কুলশিক্ষকই নির্বাচিত হয়েছিল। আসলে বাকশালে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি শোষিতের ক্ষমতায়নের এবং অর্থনৈতিক কর্মসূচিটি ছিল শোষণ নির্যাতন অবসানের প্রাথমিক পদক্ষেপ। তাই বাকশাল কার্যকর করার আগেই বাকশাল আক্রোশে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুসহ বাকশাল নেতারা হয়েছেন প্রতিহিংসার শিকার। আমার ধারণা, ১৯৭৫ সালে কিংবা বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে বাংলার মানুষ তাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণহীন, বৈষম্যহীন, মানবিক জীবন অর্জন করত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার অনেক কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে তার শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে উল্লম্ফন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়