সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

পুলিশের অপরাধ প্রবণতা নৈতিক অবক্ষয়ই কারণ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রতিক করোনা সংকট মোকাবিলায় পুলিশের মানবিক ভূমিকা সবার কাছে প্রশংসনীয়। এছাড়া দেশে উগ্রবাদ জঙ্গি দমনেও এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড ও দুষ্কৃতকারীদের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করে সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে পুলিশের প্রথম ও প্রধান কাজ। কিন্তু কিছু সদস্যের অপরাধে এ বাহিনীর সুনাম নষ্ট হচ্ছে, তা দুঃখজনক। পুলিশ সদস্যদের একাংশের অপরাধে সম্পৃক্ত হওয়া এবং পুলিশ পরিচয়ে অপরাধ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার, অপহরণ, নির্যাতন, খুনের মতো বড় বড় অপরাধকর্মেও এদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। আবার ডিবি পোশাকে বা ডিবি পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তারের নামে অপহরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ঘটনাও ঘটে চলেছে। পুলিশের আলোচিত অপরাধের মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঘুষ কেলেঙ্কারি, টাঙ্গাইলে প্রতিবাদী জনতার ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া চট্টগ্রাম, যশোর ও খিলগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে চোরাচালানির স্বর্ণ উদ্ধারে গিয়ে নিজেরাই স্বর্ণ আত্মসাৎ করেছে। ইয়াবা ও মানবপাচারসহ নানা অপরাধে এক শ্রেণির পুলিশ সদস্য জড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সোনার বার লুটের মামলায় ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা ও তার ৫ সহযোগী পুলিশ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার ফেনী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কাছ থেকে ৫টি সোনার বার উদ্ধার হয়। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ধরনের ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতিই মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি করে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। অপরাধী যেই হোক, তার শাস্তি নিশ্চিত করাই হলো অপরাধ দমনের প্রথম পদক্ষেপ। আর অপরাধ দমনের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মধ্যে যারা নিজেরাই অপরাধে লিপ্ত হবে, তাদের শাস্তি অধিকতর কঠোর হওয়া দরকার। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, পুলিশ সদস্যদের অপরাধ ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে পুলিশ সুপারদের দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। প্রায় সোয়া ২ লাখ সদস্য নিয়ে পুলিশ বাহিনী গঠিত। এর মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ২৫ হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কেন জন্ম নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। তাদের প্রশিক্ষণে কোনো ঘাটতি আছে কিনা- সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। অপতৎপরতা থেকে পুলিশ বিভাগকে মুক্ত করার জন্য শক্তিশালী জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়