৯৯৯-এ কলে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ ও বাঁশির চিত্রকল্প

পরের সংবাদ

হোমনায় বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. কামাল হোসেন, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে : হোমনায় বিদ্যুৎ বিল নিয়ে উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ অফিসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার পরও জরিমানা দিয়ে বিল দিতে হয়েছে।
গ্রাহক জয়নাল আবেদিন জানান, জরিমানা ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ৩০ জুলাই। কিন্তু ৩০ জুলাই শুক্রবার ব্যাংক বন্ধ ছিল। পরে বিদ্যুৎ বিল দিতে স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে গেলে সেখানে থাকা এক লোক এসে বলেন শুক্রবারে অফিসে বিদ্যুৎ বিল নেয়া হয় না। যেহেতু সব সময় শনিবারেও ব্যাংক বন্ধ থাকে অপেক্ষায় ছিলাম এক আগস্ট রবিবারে বিদ্যুৎ বিল দেব। রবিবারে হোমনা বাজারে এসে দেখি সব ব্যাংক বন্ধ। জানতে পারলাম করোনার কারণে শুক্র, শনি, রবিবার ব্যাংক বন্ধ থাকে। পরে দুই আগস্ট সোমবার ব্যাংকে বিল দিতে গেলে জরিমানা দিয়ে বিল দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪২ টাকা জরিমানা দিতে চাইনি। এখন কয়েক দফা ঘুরে ৪২ টাকা জরিমানা তো ঠিকই দিলাম, এর সঙ্গে যানবাহনের ভাড়া বাবদ আরো ১২০ টাকা বেশি গেল। আর হয়রানি তো হলামই। তার মতো এমন শত শত লোক এবার এ রকম হয়রানির শিকার হয়েছে বলে জানান তিনি।
পূর্ব শ্রীমদ্দি দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ নূরুল আমিন বলেন, আগে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ব্যাংক বন্ধ থাকলে এরপর যে দিন ব্যাংক খুলত সে দিন বিদ্যুৎ বিল দিলে কোনো জরিমানা হতো না। এবারো তাই ভেবেছিলাম কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে উল্টোটা হলো ২১৮ টাকা জরিমানা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়েছে।
বিদ্যুৎ গ্রাহক হাফিজ মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে তেমন কাজকর্ম না থাকায় এমনিতেই মানুষ অর্থনৈতকভাবে খুব কষ্টে আছে। তার মধ্যে যদি পল্লীবিদ্যুতের নির্ধারিত দিনে ব্যাংক বন্ধ থাকার পরও ব্যাংক খোলার দিন বিল দিতে জরিমানা দিতে হয় সেটা অনেক কষ্টের।
তিনি আরো বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস যেন সব সময় যে দিন ব্যাংক খোলা থাকে ওই দিনই যেন বিল দেয়ার সর্বশেষ তারিখ দেয়। তাহলে গ্রাহকদের আর এভাবে হয়রানি হতে হবেন না। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল দেয়ার শেষ তারিখে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও জরিমানা দিতে হয় বিষয়টি গ্রাহকদের মধ্যে প্রচার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
হোমনা এসআইবিএল ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিল দেয়ার শেষ দিন যদি ব্যাংক বন্ধ থাকত তাহলে যে দিন ব্যাংক খুলত এ দিন জরিমানা ছাড়াই বিল নেয়া হতো। এবার বিদ্যুৎ অফিস বলেছে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও জরিমানা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, শেষ দিনে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।
হোমনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আজিজুর রহমান বলেন, আগে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার শেষ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকলে পরের দিন দিলেও জরিমানা নেয়া হতো না। কিন্তু এখন বিকাশ এবং পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ বিল নেয়া হয় বিধায় নির্ধারিত তারিখে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও পরের দিন বিল দিলে জরিমানা দেয়ার বিধান করে সমিতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়