শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : শাহজাদপুরে দাফনের ৫৩ দিন পর কবর থেকে বাবুল মিয়া (৩২) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত বাবুল উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তার মোল্লার ছেলে। বাবুল শাহজাদপুরে লুঙ্গির ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়েকে নিয়ে পৌর এলাকার রূপপুর পুরানপাড়া গ্রামে বাসা ভাড়া থাকতেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড় মহারাজপুর কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কার সিদ্দিক ও শাহজাদপুর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল মজিদ।
জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে শাহজাদপুর পৌর সদরের রূপপুর পুরানপাড়া গ্রামে ইয়াসিন হাজির ভাড়া বাসায় বাবুল মিয়া মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী মোছা. রেখা খাতুন (৩০) স্বাভাবিক মৃত্যু বলে তার দাফন সম্পন্ন করে। পরে মৃত বাবুলের বড় ভাই আবুল হোসেনের কাছে মৃত্যুটি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় গত ২৯ জুন আবুল হোসেন বাদী হয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেখা খাতুন ও তার বাবা, মা, ভাই, বোনসহ ৭ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্ত সাপেক্ষে দাফনের ৫৩ দিন পর গত মঙ্গলবার দুপুরে বাবুলের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মৃত বাবুলের স্ত্রী মোছা. রেখা খাতুন জানায়, আমার স্বামী বাবুল মিয়া ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এখন আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা করেছে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল মজিদ বলেন, মৃত বাবুলের মরদেহ ৫৩ দিন আগে দাফন করা হয়েছিল। মৃতের বড় ভাই কোর্ট পিটিশন মামলা দায়ের করায় তদন্তসাপেক্ষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।