৯৯৯-এ কলে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ ও বাঁশির চিত্রকল্প

পরের সংবাদ

বাংলা একাডেমির আলোচনা : ‘বঙ্গবন্ধু শোষিতের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন’

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শোষকের গণতন্ত্র নয় বরং শোষিতের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সে বিশ্বাস থেকে সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে তার সমাজতন্ত্র ধার করা সমাজতন্ত্র নয় বরং বাংলার মাটি ও জলহাওয়া থেকে উত্থিত নিজস্ব বিষয়ে।
বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ, আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট-২০২১’ শীর্ষক অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার ৪র্থ দিন গতকাল বুধবার বিকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ এসব কথা বলেন।
শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ‘আগস্ট ট্র্যাজেডি ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত ‘কফিনের লোকটি’ কবিতা পাঠ করেন কবি মাকিদ হায়দার। কবি শামসুর রাহমান রচিত ‘ইলেক্ট্রার গান’ কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই এবং বাংলা একাডেমির বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ গ্রন্থমালার ডিজিটাল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান।
বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুণে ধরা সমাজের মূল ধরে টান দিতে চেয়েছেন। সমাজের সার্বিক পরিবর্তনের লক্ষ্যেই দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন তিনি; তবে পরাজিত পাকিস্তানি অপশক্তির ষড়যন্ত্রে আগস্ট ট্র্যাজেডিতে বঙ্গবন্ধু শহীদ হলে বাংলাদেশের পশ্চাৎ-যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে এক বিস্ময়ের নাম। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীজুড়ে এক উদাহরণযোগ্য রাষ্ট্র- ধারণা।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ১৪ জন কূটনীতিক পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আরেক দফা নৈতিক বিজয় অর্জন করে। অপরদিকে, পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত ইয়াহিয়া সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে

পাকিস্তানি আক্রোশ প্রকাশ করে তাকে হত্যার হুমকি দিলে ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে।

নূরুল হুদা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের ভাই ও বন্ধু। বঙ্গবন্ধু থেকে ক্রমশ পরিণত হয়েছে বিশ্ববন্ধুতে। মঙ্গলরাষ্ট্রের ধারণা তিনি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন। এভাবে তিনি পরিণত হয়েছেন চিরজীবিত মঙ্গলমানবে। মূলত বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের জীবন এক মহান ধারাবাহিকতার নাম। সে ধারাবাহিকতাই আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে চলেছে, বাংলাদেশ নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজের স্বপ্নকে সফল করছে। এ এইচ এম লোকমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথেই বাংলাদেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের অজেয় উত্থানের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু অবিনশ্বর হয়ে আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়