৯৯৯-এ কলে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ ও বাঁশির চিত্রকল্প

পরের সংবাদ

পৌরবাসীর সেবা করাই আমার মূল লক্ষ্য : হাবিবুর রহমান মানিক মেয়র, মাধবপুর পৌরসভা

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে : প্রথম শ্রেণির হলেও এখনো আপন ঠিকানা হয়নি মাধবপুর পৌরসভার। জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা। এই পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক। ১৯৯৮ সালে মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ও আদাঐর ইউনিয়নের দুটি অংশ নিয়ে গড়ে তোলা হয় মাধবপুর পৌরসভা। বর্তমানে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। হাবিবুর রহমান মানিক এই প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ভোরের কাগজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মাধবপুর পৌরসভার প্রথম সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা সমাধান করতে পারলে পৌরসভার দীর্ঘদিনের যে সমস্যা সেটি দূর হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগে পৌরসভায় যেসব ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো প্ল্যান মতো করা হয়নি। যার ফলে এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এটি একটি বড় সমস্যা, যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে সব নাগরিক সচেতন হলে আর সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান করা যাবে। নতুন ভবন (ইমারত) নির্মাণ প্ল্যান মতো করা হচ্ছে। যাতে কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় ।
মেয়র বলেন, মাধবপুর পৌরসভাটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত পৌরসভার নিজস্ব কোনো ভবন হয়নি। সাবেক পুরনো আদালত ভবনে চলে পৌরসভার কার্যক্রম। পৌরসভার নিজস্ব ভবন নির্মাণ সম্পর্কে মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, পৌর ভবন নির্মাণ একটি বিশাল প্রক্রিয়া। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিগত সময়ে জায়গাও কেনা হয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় ভবন নির্মাণ করা যায়নি। তাছাড়া আরো কিছু বাধা-বিপত্তি রয়েছে। পৌরসভার যারা মুরুব্বি রয়েছেন, যারা সচেতন নাগরিক সবাই যদি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন

তাহলে পৌরভবন নির্মাণ করা সহজ হবে। তিনি বলেন, ভবন করার জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মেয়র বলেন, পৌর শহরে পানির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সুপেয় ও মিষ্টি পানির জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন কাজ চলছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ করা হয়। কাজটি শেষ করা হয়েছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য থেকে এখনো পৌরসভাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। যার ফলে আমরা পৌরবাসীকে সুপেয় পানি, মিষ্টি পানি দিতে পারছি না। আশা করি, এটি চালু হলে পৌরবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ হবে।
সড়কবাতি সম্পর্কে মেয়র বলেন, কিছু কিছু সড়কে সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। যে সড়কগুলোতে সড়কবাতি নেই সেগুলোতে সড়কবাতি লাগানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ১১২টি সড়কবাতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জলবায়ু প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্ট আছে সেখানে সারাদেশের ৫টি পৌরসভার নাম আছে। তার মধ্যে মাধবপুর পৌরসভার নাম রয়েছে। এই প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে মাধবপুর পৌরসভার চিত্র বদলে যাবে।
মাধবপুর পৌরসভার ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ কোটি ৭২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭২ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র বলেন, এ বাজেটে সুবিধা বঞ্চিত, দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু রয়েছে। তাছাড়া পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কর আদায়ে মাধবপুর পৌরসভা এগিয়ে আছে। আমাদের কর কালেকশনের হার ৯৩.৬৫ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে পৌরসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধি, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে আমার কোনো প্রতিশ্রæতি ছিল না। কিন্তু পোস্টারে যেহেতু লিখেছি জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন তাই সব সময় জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। আমার কোনো বন্ধের দিন নেই। সব সময় সবার জন্য আমার দরজা খোলা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়