৯৯৯-এ কলে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ ও বাঁশির চিত্রকল্প

পরের সংবাদ

পাকা ঘরে ঠাঁই পাচ্ছে আড়াই হাজার পরিবার

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : এই তো কয়েক বছর আগেও ছিল না তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। মানুষের জমিতে বা রাস্তার ধারের সরকারি জমিতে খড়-বাঁশ অথবা টিনের ছাপরা দিয়ে তৈরি ঘরে দিনযাপন করতে হতো পরিবার-পরিজন নিয়ে। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভেতরেই জড়সড়ো হয়ে থাকতে হতো তাদের। তারা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারেননি একদিন তাদের হবে পাকা বাড়ি। তাদের ভাগ্যে এখন জুটেছে জমির মালিকানাসহ পাকা বাড়ি। রয়েছে বিদ্যুৎ সুবিধাও। সারা দিন কাজ শেষে মহা আনন্দে শান্তির ঘুম দিতে পারছেন তারা। অ্যাটাচড বাথরুমসহ দুই কক্ষের ওই পাকা ঘরে থাকছে রান্নাঘর ও বারান্দা। থাকছে সুপেয় পানির জন্য টিউবওয়েল, যা একটি ছোট পরিবার থাকার জন্য যথেষ্ট। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব ঘরে ঠাঁই হয়েছে হাজারো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের। তাদের সুখের এই দিনে তারা প্রধানমন্ত্রীকে দোয়া আর আশীর্বাদ জানাতে ভুলে যাননি।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলায় জমি নেই ঘর নেই এমন ‘ক’ তািলকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৪৩টি, ১০ শতাংশ পর্যন্ত জমি আছে কিন্তু ঘর নেই এমন ‘খ’ তালিকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ২ হাজার ৯৯১টি এবং ১০ শতাংশ পর্যন্ত জমি আছে, ঘর আছে কিন্তু জরাজীর্ণ এমন ‘গ’ তালিকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ২ হাজার ৩২১টি। প্রথম দফায় ‘ক’ তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৫৭টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ২০৮টি, বোদা উপজেলায় ৫৫টি, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৫৮২টি, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১৪২টি এবং আটোয়ারী উপজেলায় ৭০টি। আর দ্বিতীয় দফায় দেয়া হবে ১ হাজার ৩৫৯টি পরিবারকে ঘর। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৩৬টি, বোদা উপজেলায় ১৭টি, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৪৫১টি, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১৩৫টি এবং আটোয়ারী উপজেলায় ১২০টি পরিবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে অর্ধেক পরিবারের কাছে এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি অর্ধেক ঘরের নির্মাণকাজও শেষের পথে। এসব ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পরই তালিকাভুক্ত পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে।
সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মুছা কলিমুল্লাহ প্রধান জানান, আমার ইউনিয়নে ৭১টি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। একই ডিজাইনের এসব বাড়ি দেখতে সুন্দর। লাল-সবুজের টিনের চালায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের পতাকা। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যোগ্য পরিবার বাছাই করে দিয়েছি। তারা সবাই এখন ওই ঘরে অবস্থান করছেন। সবাই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা বাড়ি পেয়ে খুব খুশি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সেই আলোকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে তিনি সারাদেশে বহু মানুষকে ঘর উপহার দিয়েছেন, যা বিশ্বে অনন্য।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, একসঙ্গে এত গৃহহীন মানুষকে সেমিপাকা ঘর প্রদান প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এটি বিশেষ উদ্যোগ। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উপযুক্ত সুবিধাভোগী বাছাই করে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়