৯৯৯-এ কলে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ ও বাঁশির চিত্রকল্প

পরের সংবাদ

দুর্ঘটনার আশঙ্কা : মোরেলগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবন অপসারণে নেই অগ্রগতি

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইচ এম জসিম উদ্দিন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) থেকে : মোরেলগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনিক এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকটি ভবন যুগ যুগ ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিত্যক্ত ভবনগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নেই কোনো উদ্যোগ। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভবনগুলো অপসারণের জন্য একাধিকবার অবহিত করেও আইনি জটিলতায় মেলেনি কোনো সুরাহা। যে কোনো সময় ধসে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার প্রশাসনিক চত্বরে ৮০ দশকের দিকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক নির্মাণ করা হয় একটি ভবন। ভবনটিতে একসময় দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি যন্ত্রাংশ রাখা হতো।
এ ভবনটির পাশেই রয়েছে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন নামের আরো একটি ভবন। সে ভবনে ছিল শিক্ষা অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কার্যক্রম। অনুরূপ একটি ভবনে রাখা হতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত গাড়ি, কৃষি দপ্তরের গাড়ি। এ ধরনের আরো কিছু ভবন। ভবনগুলো এখন মলমূত্র আর নোংরা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকটি ভবন রয়েছে পুরনো ও নতুন উপজেলা প্রশাসনিক চত্বরের বিভিন্ন স্থানে।
বর্তমানে এ ভবনগুলো প্রায় ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দেয়াল খসে পড়ে বেরিয়ে পড়েছে ইট, লোহার রডসহ ভবনের বিভিন্ন অংশ। ভেঙে পড়েছে ছাদ, বিভিন্ন উদ্ভিদসহ বটগাছের চারা গজিয়ে তা গাছে পরিণত হয়েছে। এ জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে পথচারীরা অনেক সময় রোদ-বৃষ্টিতে অবস্থান করেন। সেই সঙ্গে এখানে দাঁড়িয়ে ইতোমধ্যে আহত হয়েছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন পথচারী। কৃষি দপ্তরের ব্যবহৃত গাড়ির উপর ছাদ ভেঙে পড়েছিল।
মোরেলগঞ্জে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসক মোরেলগঞ্জে সম্প্রতি এক সভায় বিষয়টি অবগত হয়ে আমাকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। আমি ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলী সঙ্গে কথা বলেছি। চলতি মাসের উন্নয়ন সভায় এটির ব্যাপারে আলোচনা হবে। সভার কার্যবিবরণী জেলা প্রশাসনে পাঠানো হবে। আশা করি দ্রুত ভবনগুলো অপসারণ করা যাবে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহ-ই আলম বাচ্চু বলেন, ইতোপূর্বে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি টিম পরিত্যক্ত ভবনগুলো পরিদর্শন করে ভবনগুলো অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার লিখিতভাবে অবহিত করেছিলাম। কিছু জটিলতার কারণে হয়নি। তবে এবার শিগগিরই এগুলো অপসারণ করা যাবে বলে আশা করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়