কাগজ প্রতিবেদক : করোনা মোকাবিলায় সরকারের গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে সারাদেশে মানুষের মধ্যে প্রচার চালাতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের বিশেষ সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভায় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মোকাবিলায় আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম চালানো হবে। এই গণটিকা কার্যক্রম সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সারাদেশে ক্যাম্পেইন চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের নিজে টিকা নিতে হবে এবং মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। এটা আমাদের নেত্রীর নির্দেশ।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সবার প্রতি আহ্বান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলুন। করোনা মোকাবিলায় এবং মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপ সুচারুরূপে শেষ করা হলেও বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আগস্ট মাস এলেই বিএনপির গাত্রদাহ বেড়ে যায়। ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চায়, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের স্বীকারোক্তিতেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকার কথা বেড়িয়ে আসে। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।