শামসুল আলমকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী করে প্রজ্ঞাপন

আগের সংবাদ

লকডাউনে তৈরি ডেজার্ট...

পরের সংবাদ

স্বপ্নবাজ এক নির্মাতা হেমন্ত

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হেমন্ত সাদীক। স্বপ্নবাজ এক তরুণ নির্মাতা। কৈশোর কেটেছে রাজশাহীতে। ছোটবেলা থেকে লেখিলেখির প্রতি ঝোঁক ছিল। একটা রচনা প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়ে আমন্ত্রণ পান ‘চিলড্রেন’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’ এ অংশগ্রহণের। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে প্রেমে পড়েন সিনেমার। পরের বছর নিজেই নির্মাণ করেন একটি চলচ্চিত্র। সেই থেকে শুরু। প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১১ সালে কথাসাহিত্যিক মনি হায়দারের গল্প অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সীমান্তের খোঁজে’ নির্মাণ করে। চলচ্চিত্রটি দেশ-বিদেশের একাধিক উৎসবে প্রদর্শিত-প্রশংসিত হয়। একই বছর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে। এরপর দীর্ঘ বিরতি শেষে ২০১৭তে নির্মাণ করেন ‘আ লেটার টু গড’। ছবিটি হলিউডের ‘রিয়েল টু রিল গেøাবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল’ এ বেস্ট ড্রামা বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে। এরপর একে একে ছবিটির অর্জনের ঝুলিতে জমা হয় ইতালির জিয়ো ফিল্ম ফেস্টিভালে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র, নরওয়ের রিঙ্গেরিক ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভালে জুরি মেনশন পুরস্কার, ইরানের ইয়ুথ ক্যাপিটাল ফিল্ম ফেস্টিভালে ডিরেকটিং অন এ বেস্ট স্ক্রিপ্টসহ মোট আটটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার। উল্লেখ্য, ছবিটি সম্মানজনক এশিয়া প্যাসিফিক ফিল্ম ফেস্টিভালের ৫৮তম আসরে ক্রিটিক এওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। মারমা ও বাংলা ভাষায় নির্মিত ‘আ লেটার টু গড’ বিশ্বের ২৩টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। হেমন্ত সাদীক প্রায় তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের। এটি নির্মিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ইতালির যৌথ প্রযোজনায়। ‘দ্য ফাদার; এন আনটোল্ড স্টোরি’ নামের এই ছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রথিতযশা কথাশিল্পী শাহাদুজ্জামান। পরিচালক হেমন্ত জানান, ছবিটির চিত্রায়ন হবে বাংলাদেশ ইতালি ও ফ্রান্সে। এরই মধ্যে ছবিটির অভিনয়শিল্পীর অন্বেষণে ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে একাধিক অডিশন। চলমান এই মহামারি কেটে গেলেই ছবিটির কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি হেমন্ত সাদীক একজন চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী হিসেবেও কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র সংসদ ‘সিনেমা বাংলাদেশ’ দেশজুড়ে প্রায় বিশটি চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা আয়োজন করেছে। এছাড়া ল²ীপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বান্দরবানে আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। যাতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন মোরশেদুল ইসলাম, ববিতা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নূরুল আলম আতিক, অমিতাভ রেজাসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। উৎসবটির আগামী আসর বসবার কথা রয়েছে চলতি বছরের নভেম্বরে, কক্সবাজারে। উল্লেখ্য, তরুণদের কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে ‘সিনেমা বাংলাদেশ’ জয়বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড লাভ করে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে ভীষণ আশাবাদী এই নির্মাতা স্বপ্ন দেখেন, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের হাত ধরে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের যে অগযাত্রা শুরু হলো, তা আরো বড় স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ করবে আগামীর নির্মাতাদের। দেশের নানা প্রান্ত থেকে একেবারে নতুন চিন্তা আর নিজস্ব নির্মাণভাবনা নিয়ে উঠে আসবে তরুণরা, বিশ্ব চলচ্চিত্রে স্বতন্ত্র জায়গা করে নেবে বাংলাদেশি নির্মাতাদের নতুন চিত্রভাষা।
:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়