ডিআরআরএ আয়োজিত ওয়েবিনার : প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবি

আগের সংবাদ

মহামারিতেও আনন্দময় হোক ঈদ

পরের সংবাদ

নীল নাকফুল

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাস্টারের বউ
মাস্টারনি কেন?
শিক্ষা বোর্ড
জবাব চাই!
তিতিবিরক্ত হলো মাস্টার। শালারা! কনকনে এই শীতের রাতেও বিরাম নাই। কোন ধাতু দিয়ে বানানো এরা? ধাতু না, শীতের দিনে বরফকলের বরফ এবং গরমের দিনে ইটভাটার চুল্লির আগুন দিয়ে বানানো। নাকি দুই নাতিশীতোষ্ণ হায়েনা? শীত গরমের বোধ নাই। হায়েনা বা হানাদার। ক’দিন ধরে রোজ হানা দিচ্ছে। রাত বারটায় এদিক-ওদিক করে। মাতাল দুই ভূত। নিশির ডাক দেয়, ‘বন্ধু! ও বন্ধু! বন্ধু! বন্ধু!’
মাস্টারকে তারা ডাকে বন্ধু। মাস্টারের বন্ধুগণ।
‘ও বন্ধু! বন্ধু! এ-এ-এ বন্ধু!’
নিশির ডাক।
ডেকে যাক তারা।
এখন নিশির ডাক শুনবে না মাস্টার। কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাবে।
স্কুল শীতের ছুটি। ছেলেমেয়ে তাদের এখনও হয় নাই, বিষ্যুদবারে বাপের বাড়ি নাইওর গেছে শিখা। বছরে এই একবার যায়। দশ-বারো দিনের মতো থাকে। ফেরত আনতে যায় মাস্টার। জামাই আদরে কাটিয়ে আসে দুইদিন। যদিও শিখার সহোদররা নাই, জেঠতুতো পিসতুতো বোন আছে এক গণ্ডা। তারা মাস্টারের শালিকা সম্প্রদায়। জবা, সুরভি, সেবা, শম্পা। সেবা চলচ্চিত্র নায়িকা সুচরিতার মতো দেখতে। নাকফুল পরে। এবং কিছু সেবামূলক কাজকর্ম করে।
আপদ দুটা আবার সেøাগান ধরল।
মাস্টারের বউ
মাস্টারনি কেন?
শিক্ষা বোর্ড
জবাব চাই!
মড়াকে বিরক্ত করার ক্ষমতা রাখে এরা।
মাস্টার উঠল। হাড়হাড্ডি কনকন করে উঠল ঠাণ্ডায়। এত শীত! একটা শৈত্যপ্রবাহ গেছে মাত্র।
লুঙ্গি শার্ট পরে আছে, জ্যাকেট পরল মাস্টার। বানরটুপি পরল। ক’টা বাজে এখন?
যতটা পারে কম শব্দ করে মাস্টার ঘরের দরজা খুলে বার হলো। দরজা টেনে দিয়ে দুই ভূতকে দেখল। বেড়ার ওপারে।
শিউলি ফুলের ঘ্রাণ কনকনে হাওয়ায়। রাতকালের হিমে উঠান ভিজে আছে। চরাচর ডুবে গেছে কুয়াশায়। গেট খুলে মাস্টার দুই ভূতুড়েকে বলল, ‘তোরা কি মানুষ!’
‘নারে বন্ধু! নারে মানুষ না!’
দুই ভূত একসঙ্গে বলল।
এক ভূত খলিল। এক ভূত মুস্তফা।
উকিলের ছেলে খলিল, মোক্তারের ছেলে মুস্তফা। অপোগণ্ড মদখোর হয়েছে দুইটাই। আয় রোজগার যা করে মদ গিলে ওড়ায়। খলিল থাকে ঢাকায়। নানা কিছু করে। কিছু একটা ঝামেলায় ফেঁসে গিয়ে ফিরেছে টাউনে। কী ঝামেলা মাস্টারকে বলে নাই। মুস্তফাকে বলে থাকতে পারে। গলি ভাই তারা। আলীমাবাগে বাসা দুটারই। আলীমাবাগের জ্যাকব মিয়ার মেয়ে আফরিনের সঙ্গে লাইন ছিল খলিলের। মুস্তফা লাইন-ফাইনে নাই। তার তরিকা বুয়া তরিকা। সেই বুয়ার বয়স ১৮, ২৮, ৩৮, ৪৮, যা খুশি হতে পারে।
কানাঘুষা আছে টাউনে, খলিল আফরিনকে প্রেগন্যান্ট করেছিল একবার। তাদের বাপদ্বয়ের দুই ফোঁটা সম্মান রাখে নাই বদমায়েশ দুটা।
মাস্টার বলল, ‘মানুষের কমন সেন্স থাকে তোদের নাই।’
মুস্তফা বলল, ‘কমন সেক্স? তোরও কমন সেক্স আছে বলতে চাস তুই? খিক খিক খিক! আচ্ছা, তোর বউ ফিরছে রে বন্ধু?’
‘খিক! খিক! খিক! কমন সেক্স না রে শিয়াল, কমন সেন্স! সাধারণ জ্ঞান। তোদের নাই।’
‘তোর বউ বাপের বাড়ি থেকে ফিরছে? ফিরে নাই?’
‘কেন? আমার বউয়ের খবর দিয়া কী করবি তুই?’
খলিল বলল, ‘কিছু না। কল্পনা করব।’
‘খবিসের খবিস!’
মুস্তফা বলল, ‘না রে বন্ধু, আমি কিছু কল্পনা করব না। কসম। তোর বউ কি আর বুয়া বল? বুয়া হইলে দেখতাম-।’
‘কী দেখতি?’
খলিল বলল, ‘তোর বউয়ের দু-।’
‘না রে বন্ধু। আমি এই শালার মতো খবিস না। দ দিয়া তোর বউয়ের কিছু আমি দেখব না।’
বলে মুস্তফা শিয়াল-হাসি দিল। খলিল শিয়াল-হাসি দিল।
মাস্টার বলল, ‘দেখো অবস্থা। কয় আংগুল করে খাইছিস রে শালারা? কী জিনিস?’
‘এমএমবি।’ মুস্তফা বলল।
খলিল বলল, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম।’
মাস্টার বলল, ‘এমএমবি রাম! এই জিনিস মানুষ খায়? ঘোড়ার খাইদ্য।’
খলিল বলল, ‘আমরা ঘোড়া।’
মাস্টার বলল, ‘তুই আর মুস্তফা? তোরা ঘোড়াই। রণের ঘোড়া। পলাশীর আ¤্রকানন থেকে পলাইছিস। না হলে এই ঠাণ্ডায় কেউ এমএমবি রাম খায়, ছিঃ! হরিশ পুরকাইতের বাপের নাম শুনছিস? খরিশ পুরকাইত। জমিদারের নায়েব। রাম খাইতো। এল ডোরাডো, ফোর্টি পার্সেন্ট এলকোহল, অ্যাপলটন এস্টেট, ফোর্টি থ্রি পার্সেন্ট এলকোহল। নাম শুনছিস? ফকিন্নি। এই ঠাণ্ডায় আসছে এমএমবি নিয়া!’
মুস্তফা বলল, ‘পঞ্চাশ টাকার একখান নোট দে না বন্ধু, লঞ্চঘাটে গিয়া ডিম পরোটা খাই।’
‘পঞ্চাশ টাকার একখান নোট! বাউডান্ডির ভাতিজা তুমি শালা!’
বাউডান্ডি মানে বাউডান্ডি উকিল।
বাউডান্ডি আঞ্চলিক শব্দ। অকর্মা অর্থে। বাউডান্ডি উকিল অকর্মা না, টাউনের কেউ বলতে পারে না কেন বা কী করে তার নাম হয়ে গেছে বাউডান্ডি উকিল।
ইরাবের কারণে তারা সম্পর্কিত বাউডান্ডি উকিলের সঙ্গে। স্কুল লাইফে বাউডান্ডি উকিলের মেয়ে শিরিনের প্রেমে পড়েছিল ইরাব। লাইন করতে পারে নাই। শিরিনের বিয়ে হয়ে গেছে। তিন বোন শিরিনরা। শিরিন, তারিন এবং যারিন। কলেজ লাইফে ইরাব ধারাবাহিকভাবে তারিন, যারিনের প্রেমেও পড়েছিল। লাইনচ্যুত হয়েছে। তারিন, যারিনেরও বিয়ে হয়ে গেছে। খলিল পরামর্শ দিয়েছিল, ‘তুই একটা দরখাস্ত কর।’
‘দরখাস্ত! কার কাছে করব?’
‘বাউডান্ডির কাছে।’
‘বাউডান্ডির কাছে? কী দরখাস্ত করব?’
‘তোর জন্য আরেকটা চেষ্টা নিতে বল। বাউডান্ডি চ্যাম্পিয়ন আছে। আরো একটা মেয়ে ব্যাপার না, এক গণ্ডা মেয়ের বাপ হতে পারবে এখনো।’
‘তা পারবে। বাউডান্ডি না? কিন্তু ব্যাটার বউয়ের দিকটা তো ভাববি। বেটির কি আর ক্ষমতা আছে’
‘না থাকলে বেটির লগেই লাইন দে তুই।’
‘এইটা খারাপ পরামর্শ দিস নাই। বিয়াতী তিন মেয়ের মা তো মনেই হয় না বেটিরে দেখলে।’
‘বাউডান্ডিরে গিয়া বল এই কথা। বাউডান্ডি আনন্দে তোরে পঞ্চাশ টাকার একখান নোট দিয়া দিতে পারে। খিক! খিক! খিক!’
‘খিক! খিক! খিক!’
কমন গল্পগাছার একটা টাউনের। মক্কেল মাত্রই বাউডান্ডি উকিলের এই টাউনবিখ্যাত ডায়লগ শোনা পড়বে, ‘পঞ্চাশ ট্যাকার একখান নোট।’
পঞ্চাশ টাকার একখান নোট নগদ ছাড়া বাউডান্ডি উকিল কথা বলেন না মক্কেলের সঙ্গে। কিছু শোনেন না।
‘পঞ্চাশ টাকার একখান নোট না দিলে নাই।’
মুস্তফা বলল।
মাস্টার বলল, ‘কী নাই রে শালা?’
খলিল বলল, ‘রামের কথা বলতেছে। তুই তো খাবি না। অখাইদ্য জিনিস। তুই তো ঘোড়া না। খবিশ পুরকাইতের বংশধর।’
‘খবিশ না রে শালা, খরিশ পুরকাইত। হরিশের বাপ খরিশ।’
‘তুই হলি ধরিস পুরকাইত। চল রে মুস্তফা।’
মুস্তফা বলল, ‘হ্যাঁ, যাই গিয়া চল। আমরা ঘোড়া, সে ঘোড়া না। রাম খায় না। পঞ্চাশ টাকা ছাড়া আমি নাই। যাই রে বন্ধু।’
মাস্টার বলল, ‘এই! এই শালা! আমি রামের কথা বলছি?’
খলিল বলল, ‘বলিস নাই? কী বলে রে!’
মাস্টার বলল, ‘বলছি। এমএমবি রামের কথা বলছি। অখাইদ্য জিনিস।’
‘ওই তো। আমরা তো এমএমবি রামই খাইতেছি। অখাইদ্য জিনিস। তুই কেন খাবি? হাজার হলেও শিক্ষক, জাতির বিবেক তুই। হরিশ পুরকাইত, খবি…খরিশ পুরকাইতের বংশধর তুই। এমএমবি রাম খাস শুনলে-।’
‘এই শালা, লেকচার থামাবি?’
মুস্তফা বলল, ‘পঞ্চাশ টাকার একখান নোট।’
মাস্টার বলল, ‘না, বিশ টাকা। আমার কাছে আর টাকা নাই।’
‘চারটা পরোটা, দুইটা ভাজি, দুইটা অমলেট। ত্রিশ টাকা। দুই কাপ চা, দুইটা সিগারেট। আরো বিশ টাকা। পঞ্চাশ টাকার কমে হবে? তুই নিজে হিসাব করে দেখ।’
‘দেখছি! টাকা থাকলে না দিবরে শালা?’
খলিল আলগা মাতব্বরি ফলাল, ‘বাদ দে মুস্তফা। খরিশ পুরকাইতের বংশদন্ড এই শালা মহা ফক্কিনি। আচ্ছা এই, দে। বিশ টাকা দে।’
মাস্টার বলল, ‘আগে তোরা দে।’
খলিল বলল, ‘শালা বখিল।’
মুস্তফা বোতল প্রকাশিত করল।
মাস্টার চায়ের কাপ প্রকাশিত করল। জ্যাকেটের পকেটে করে এনেছে। মুস্তফা কাপ পূর্ণ করে দিল। একেবারে গলায় ঢেলে দিল মাস্টার, নাক মুখ চোখ কুঞ্চিত করে। পূর্বজন্মের স্মৃতি মনে করে হয়তো। সেই জন্মে ম্যালেরিয়া হয়েছিল তার, বিস্তর কুইনাইন গিলেছে। নাক মুখ চোখের বিকট কুঞ্চিত ভাব এই জন্মেও বর্জন করতে পারে নাই। সেই ভাব করে সে বলল, ‘ছি! ছি-ছি! ছি! আমি হরিশ পুরকাইতের পুত্র, খরিশ পুরকাইতের নাতি, আমি এই অখাইদ্য জিনিস খাইলাম! মা একটা কথা সবসময় বলত, সুসঙ্গের সং, প্রতি কথায় রং/ কুসঙ্গের সং, গলায় ঢংঢং। তোরা কুসঙ্গ। তোরা দুইটাই-।’
মুস্তফা বলল, ‘হইছে। টাকা দে।’
‘টাকা! কিসের টাকা রে শালা?’
‘বিশ টাকার একখান নোট।’
‘বিশ টাকার একখান নোট! পরে নিস। আমার ধরে গেছে, বুঝতেছিস না? বিশ টাকার নোট মনে করে যদি ছয়শ টাকার নোট দিয়া দেই তোদের।’
‘ছয়শ টাকার নোট! ঠিক আছে, ঠিক আছে। নোট তো বার কর।’
‘তোরা দাঁড়া।’
বলে গেট টেনে ঢুকে গেল মাস্টার। আর বিশ টাকার নোট নিয়ে ফিরেছে?
মুস্তফা খলিলকে দেখল। খলিল মুস্তফাকে দেখল। দুই ভূত একসঙ্গে শিয়াল-হাসি দিল, ‘খিক! খিক! খিক!’
মাস্টার তার ঘরের অন্ধকারে ফিরল। আলো জ্বালল না। অপচয়। খুব অপচয় করে শিখা। অন্ধকারে ঘুমাতে পারে না। কত বিল উঠে কে বোঝায়? কথা হলো শিখাও মাস্টারনি এবং সর্বস্ব খরচ করে সংসারে। মুশকিল। আসলে বাসর রাতে বেড়াল মারা না যাক ঘণ্টি বেঁধে দিতে হয় বিড়ালের গলায়। তা না, আহ্লাদে তখন যায় যায় মাস্টার। বউ অন্ধকারে ঘুমাতে পারে না, সে কেন অন্ধকারে ঘুমাবে?-আরে তোর বউ বাচ্চা পাড়বে, তুই পাড়বি? পারবি?
মাস্টারের বউ
মাস্টারনি কেন?
শিক্ষা বোর্ড
জবাব চাই!
আবার সেøাগান দিচ্ছে শালারা। যায় নাই।
সারারাত সেøাগান দিতে থাকুক। মাস্টার আর তাদের দর্শন দিচ্ছে না। এক কাপ রাম, উষ্ণতাদায়ক কিছু হলেও। অন্ধকারে খাটে উঠল এবং কম্বলের নিচে ঢুকল মাস্টার। আরে এটা কে শুয়ে আছে? কম্বলের নিচে? নেশা কেটে গেল মাস্টারের। ভয় ধরল। একী রে বাবা? কে এটা? খাট থেকে নামবে, হাত পা বিকল মনে হলো মাস্টারের। বল নাই মোটে। কম্বলের নিচের মেয়েটা কি তার দিকে ঘুরল?
‘জামাইবাবু!’
সেবা!
কীভাবে? কী আশ্চর্য!
মাস্টার কোনরকমে বলতে পারল, ‘তুমি!’
‘কী জামাইবাবু? আমি সেবা। সেবার ভূত না…অ, পেতœী না। হি! হি! হি! আপনি ডরাইছেন? ডর নাই। জামাই বাবু’
‘হুঁ।’
‘হুঁ কী? হুঁ কী? এই ব্যাটা! ধরে দেখো আমি নাকফুল পরছি। নীল পাথর বসানো নাকফুল। হি হি হি!’
ধরে দেখল না, মাস্টার বলল, ‘কইত্থে তুমি? এইখানে এখন? আমি কি স্বপ্ন দ্যাখতেছি?’
‘স্বপ্ন হলে স্বপ্ন। হি-হি-হি!’
অতল জলের আহ্বান সেবার হাসিতে। সব ভুলে গেল এবং ডুবে গেল মাস্টার। পরদিন সকালে তার ঘুম ভাঙল আটটায়। শরীরজুড়ে এক আশ্চর্য অবসাদ। এবং সেবার ঘ্রাণ মিষ্টি। কিন্তু সে সেবাকে দেখল না। কেন দেখবে?
জুম্মাবার আজ।
কোর্ট মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে ইরাব এবং সহিদুল যাচ্ছিল, রাস্তায় মাস্টারকে পেয়ে ইরাব বলল, ‘কী মাস্টার মশাই, খবর তো শুনছো?’
মাস্টার বলল, ‘কিসের খবর?’
‘তোমার দুই স্যাঙাতের।’
‘না তো-।’
‘কেন? তোরে কেউ কিছু বলে নাই? দুইটা তো কাল রাত থেকে হাজতে।’
‘হাজতে! কাল রাত কখন থেকে?’
‘লঞ্চঘাট থেকে পুলিশ ধরছে দশটায়। ভ্যানে নিয়া ঘুরছে। থানায় জমা দিছে একটায়। মলয়দা একটু আগে গেছে দুইটারে ছুটিয়ে আনতে।’
মলয়দা উকিল। এডভোকেট মলয় খাস্তগীর। টাউনের সব মদখোরের উকিল। আশ্বস্ত হওয়ার মতো কথা। আশ্বস্ত বোধ করল মাস্টার। মলয়দা বার করে আনবে দুটাকে। কিন্তু লঞ্চঘাট থেকে দুই ভূত ধরা পড়েছে রাত দশটায়? তারপর?
আর কিছু ঘটে নাই?
কাপটা?
ঘরে ফিরে টেবিল থেকে নিল, ঘ্রাণ শুঁকল মাস্টার।
পরিষ্কার রামের ঘ্রাণ। ঝাঁ ঝাঁ। ঝাঁ ঝাঁ।
আর এটা কী পরে আছে খাটে? কার?
শিখার না। তবে কার?
নাকফুল। নীল পাথর বসানো একটা নাকফুল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়