ডিআরআরএ আয়োজিত ওয়েবিনার : প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবি

আগের সংবাদ

মহামারিতেও আনন্দময় হোক ঈদ

পরের সংবাদ

গানের গুঁতো

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গান সবারই প্রিয় শুধু আমাদের চন্দ্রিলের বাদে। চন্দবিন্দুর চন্দ্রিলের নাকি গান না’পসন্দ। এত বড় গীতিকার সেদিন সে কথাই বলল টিভি সাক্ষাৎকারে। মজা করেছে ভেবে ফোন করতেই বলল,
– না দাদা, ব্যাপারটা মিথ্যে না। নির্বাচিত দুএকটা ছাড়া গান শোনা নিয়ে আমার গানে অ্যালার্জি আছে।
– সে কী! কেন? কোন বিশেষ ঘটনা?
– তা নয় আমার গলায় অনিন্দ্য বা উপলের মতো সুর নেই। পাঁচালি ছাড়া গাইতে পারি না।
– গাইতে না পারার সাথে গান শোনার সম্পর্ক কোথায়?
– ওই যে, শুনলেই গাইতে ইচ্ছে করে। আর গাইলেই পাড়ার কুকুরগুলো আমার সাথে উ-উ-উ করে গলা মেলায়। পাশের বাড়ির নন্দখুড়ো বলেন, যুগলবন্দি শুরু হলো।
– আহা, কী অদ্ভুত সমাপতন। উই আর ইন দ্য সেম বোট ব্রাদার। তবু তুমি পাঁচালি গাইতে পারো। আমার গলায় জাতীয় সংগীতও বক্তৃতা হয়ে যায়।
– একদম ঠিক। এজন্যেই আমি তার্কিক বক্তৃতাবাজ হলাম। বাজার ভালো, দাদা। ইউটিউব খুললেই আমি। আসলে নান্দনিক কথার প্যারোডি তো সফল বক্তৃতা। নেতাদের দেখে বোঝেন না?
তা বটে। প্যারোডির গুরুত্ব অসম্ভব বেশি। ভার্চুয়াল সাইটগুলোতে এখন প্যারোডিরই বাজার। সে কবিতা হোক, বা গান। শ্লেষ্মা নয় শ্লেষ চাই। কিন্তু কিছু কুকুরের লেজ জীবনেও সোজা হয় না। আমিও তাই। গান চাই, গান। তাও অরিজিনাল হতে হবে।
তখন আমি ক্লাস থ্রি বা ফোরে পড়ি। মিউজিক ক্লাসে টিচার আমাকে বলতেন, চুপ করে বসে থাকো। জাতীয় সঙ্গীত বাদে কোনো গানে দলে নিতেন না। এমন কি প্রার্থনা সঙ্গীতেও নয়। একদিন প্রিন্সিপাল এলেন সারপ্রাইজ ভিজিটে। আমাকে একা চুপ করে বসে থাকতে দেখে ডাকলেন। মিউজিক টিচারকে বললেন,
– এই ছেলেটি পিছনে চুপ করে বসে আছে কেন?
– ও গান গাইলে সবাই চুপ করে যায়, তাই।
– সবাই চুপ করে যায় কেন?
– এত হেঁড়ে গলায় ভুল সুরে গান গায় যে সবাই সুর ভুলে চুপ করে যায়।
– আচ্ছা! ওকে নিয়ে আমার রুমে এসো।
টিচার আমাকে নিয়ে গেলেন প্রিন্সিপাল ম্যামের ঘরে। বললেন,
– তুমি প্রেয়ার সং বা অন্যান্য গান যা ক্লাসে গাওয়া হয় জানো?
– হ্যাঁ। ম্যাম পুরোটা মুখস্থ।
– তোমার ইচ্ছে করে না গাইতে?
– ভীষণ ইচ্ছে করে। কিন্তু আমি গাইলে অন্যেরা গাইতে পারে না।
– আচ্ছা। তুমি আমাকে একটা গান শোনাবে উইথ ফুল এক্সপ্রেশন।
– ক্যান আই সিং আ সং অফ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উইথ ফুল এক্সপ্রেশন?
– অফকোর্স। সিং আ টেগর’স সংগ।
বাড়িতে মায়ের গ্রুপের চিরকুমার সভার রিহার্সাল চলছে। আমার সংলাপ গান সব মুখস্থ। আমি বেশ নেচে নেচে শুরু করলাম,
– দেশে অন্নজলের হলো ঘোর অনটন-
ধর’ হুইস্কি-সোডা আর মুর্গি-মটন।
যাও ঠাকুর চৈতন-চুট্্?কি নিয়া-
এস’ দাড়ি নাড়ি কলিমদ্দি মিয়া

প্রিন্সিপাল তাকালেন টিচারের দিকে, বললেন,
– ইয়েস, আই আন্ডারস্টুড। হোয়াট শুড উই ডু।
– মেক আ গার্জিয়ান কল।
– নো, নো, ছেলেটি অন্য সবকিছুতে ভালো। স্ট্যান্ড করে। গলায় সুর নেই। এটা তো অন্যায় নয়। আর পৃথিবীতে সবাইকে গান গাইতে হবে তার কোনো মানে নেই।
– সেটা ঠিক, বাট লিটল বিট নটি। এক্সপ্রেশন কেমন দিল দেখলেন।
হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষা হলো। আমি থার্ড হলাম। এটা আমার চিরকালীন পার্মানেন্ট জায়গা। মা মার্কসিট দেখলেন। মিউজিকে ২৫ এ ৭। আবিষ্কার করলেন যে ১৪ পেলেই নাকি ফার্স্ট হতাম। সবাই ১৮-২০ পেয়েছে। এবারে মা বাবাকে বললেন,
– চলো স্কুলে। আমি এত ভালো গান গাই বলে সবাই চেনে, আর আমার ছেলে গানে পেল ২৫-এ মাত্র ৭? আমার ছেলেকে ওরা ডিপ্রাইভ করেছে।
– পাগলামি কর না। এটা আমাদের ফ্যামিলির জেনেটিক চরিত্র। এবাড়ির বউরা যতই ফর্সা হোক না কেন, প্রোডাকশন আলকাতরা। আর মায়েরা যতই ভালো গান গান না কেন, ছেলেদের গলায় ষাঁড় ঢুকে বসে আছে।
– ওফফ, তার মানে তুমি যাবে না?
– ইমপসিবল। তোমার ছেলের গান নিয়ে আমি কথাই বলব না। আম গাছে কাঁঠাল হয়?
মা একাই ভয়ানক উত্তেজিত হয়ে স্কুলে গেলেন। পুরোটা আমি জানি না। এসে বোধহয় অভিযোগ করলেন আমার নম্বরের স্বল্পতা নিয়ে। টিচার বললেন,
– আপনি তো গান জানেন, আমি আপনার ছেলেকে ডেকে নিচ্ছি। ওকে গাইতে বলব। আপনি আড়ালে দাঁড়িয়ে শুনবেন। তারপরে আপনিই নম্বর দেবেন।
আমাকে ডাকা হলো। আমি কিছুই জানি না। বলা হলো, ন্যাশনাল অ্যানথেম গাও। আমি গাইলাম। মিস বললেন,
– এতো কবিতা হলো। একটা গান তোমার খুশিমত গাও কিন্তু সুরে গাইবে।
– উইথ এক্সপ্রেশন?
– ওকে। উইথ এক্সপ্রেশন।
আমি গান ধরলাম, মেরে স্বপনো কি রানি কব আয়েগি তু, আয়ি রুত মস্তানি কব আয়েগী তু, বিতি যায়ে জিন্দেগানি কব আয়েগি তু, চলি আ, তু চলি আ…। গান গাইতে গাইতে টিচারের গলা জড়িয়ে পুরো রাজেশ খান্না হয়ে গেলাম। টিচার আমাকে থামিয়ে ক্লাসে ফেরত পাঠালেন। মা রাতে বাবাকে ঘটনা বিবৃত করে বললেন,
– এত অসভ্য ছেলে আমার পেটে যে কী করে হয়েছিল, কে জানে। সব দিক দিয়ে পাক্কা অসুর।
ক্রমে স্কুল ছেড়ে আমি কলেজে। গানের প্রতি আমার প্রেম তখনও দেদীপ্যমান। আলাপ হলো একটি তন্বী শ্যামবর্ণা তরুণীর সাথে। প্রতাপাদিত্য রোডে থাকে। ছিপছিপে, তাই নাম দিলাম নেংটি। একদিন বাড়িতে আসতেই মা বললেন,
– তোর প্রতাপাদিত্য রোডের বান্ধবী এসেছিল?
– কে! নেংটি? হঠাৎ?
– কী! নেংটি নাম দিয়েছিস? কী চমৎকার মুখশ্রী। কী অসাধারণ গান গায়। আমার কাছে একটা গান তুলতে এসেছিল তোর রেফারেন্সে। সখী, আঁধারে একেলা ঘরে মন মানে না।
– বাপ রে, এতো কঠিন গান।
কিছুদিনের মধ্যে মায়ের সাথে বেশ সখ্যতা হলো। আমিও ওর গানে মুগ্ধ হয়ে ‘নেংটি’ বলা ছেড়ে দিলাম। মনটা বেশ দ্রবীভূত অবস্থা, ঠিক তখনই একদিন মা আমাকে ধমকে বললেন,
– তুই এত অসভ্য হলি কবে থেকে? আমার ছেলে হিসেবে তোকে পরিচয় দেওয়াই অন্যায়।
– কেন কি হলো? কী করলাম আবার?
– তুই প্রতাপাদিত্য রোডের আড্ডা থেকে ওই মেয়েটার বাবাকে আওয়াজ দিসনি?
– ওর বাবাকেই তো চিনি না। কি আওয়াজ দিয়েছি?
– ওর বাবা। মুদির দোকান থেকে বাজার করে ফিরছিল আর তুই গান গেয়ে উঠিসনি? মেয়েটা টেলিফোনে বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছে আমার কাছে।
– ওহ, ওটা ওর বাবা ছিল? কী কেলো, কী কেলো।
মনে পড়ে গেল আজ ঠেকে আমায় বন্ধুরা প্যারোডি গান গাইতে বলায় দেখলাম এক বুড়ো বাজার করে ফিরছে। আমি সেই বুড়োর দিকে তাকিয়ে গাইলাম,
– যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই দ্বারে
বইব না আর বাজার বোঝা এই ঘাড়ে
চুকিয়ে দিয়ে মুদির দেনা,
সাঙ্গ করে কাপড় কেনা
গলি দিয়ে হেঁটে যাব ওই পারে।
ব্যাস। দু’একবার নেংটির কাছে সরি বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুবিধা হলো না। মেয়েটা কথাই বলল না আমার সাথে।
আমিও আর ঘাঁটালাম না। কিছুদিনের মধ্যে প্রতাপাদিত্য রোডে এলাকায় মাচা প্রোগ্রাম। সেখানে মেয়েটি আসেনি। মাচা অনুষ্ঠানে এসব হাইফান্ডা ঠাকুরচর্চাকারীরা আসে না। একজন প্যারোডি গায়ক আসার কথা ছিল। আসেনি। বন্ধুবান্ধবরা আমায় তুলে দিল। আমি সুরের কাছাকাছি থাকলেই হবে। গানের কথাই আসল। আমি উঠে রবীন্দ্রনাথের ‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণীর প্যারোডি গাইলাম,
– তুমি কেমন করে পান করো হে চুনী?
আমি অবাক হয়ে গুনি কেবল গুনি
তুমি কেমন করে পান করো হে চুনী
যে পেগ ঢালো সে পেগ ফেলো খেয়ে,
রঙিন ধারা ঝরে দু কস বেয়ে,
সাবাস বটে বলাই দাদার চেয়ে
তুমি হলে পাড়ার… এ পাড়ার নারদমুনি।
হাততালিতে ফেটে পড়ল আসর। পিঠ চাপড়ানিতে পিঠে ব্যথা। দু’দিন বাদে মায়ের আবার ঝংকার।
– তুই এই মেয়েটার পিছনে লেগে আছিস কেন?
– আবার কি করলাম? ওই মেয়ের সাথে আমার তারপরে আর দেখাই হয়নি।
– তুই দুদিন আগে নাকি ওদের পাড়ায় গান গেয়েছিস, তুমি কেমন করে পান করো হে চুনী… তারপরে বলেছিস তুমি হলে পাড়ার নারদমুনি।
– হ্যাঁ, তাতে কী? এ তো রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্যারোডি।
– আরে ওর বাবার নাম চুনীলাল দত্ত। উনি পাড়ায় বেরোলে নাকি ছেলেপিলে সবাই ডাকছে ‘নারদমুনি’।
এর মধ্যে আমি চাকরিসূত্রে কলকাতা ছাড়লাম। এগিয়ে চলল আমার কাজের জীবন। মা জিজ্ঞাসা করলেন, তোর বিয়ে দেব এবারে। কেউ ফিট আছে নাকি? আমি হলাম গোলমাল কুমার। ফিট করব কি করে? নাহ, কেউ নেই। মা বললেন, তবে আমি মেয়ে দেখি? বললাম, তুমি দেখে ফিট করো আগে। আমার মেয়ে দেখার জন্যে ছুটি নেয়া খুব চাপ।
মা কিছুদিনের মধ্যে জানালেন, তোর জন্য তোর নেংটিকে ফিট করেছি। সে কী ! সেই মেয়েটা? ফিট হলো? মা জানালেন, বহুকষ্টে। ওর বাবাকে ওকে বোঝালাম যে যা ঘটেছিল পুরোটা অনিচ্ছাকৃত। যাক ওরা মেনে নিয়েছে।
আমার বিয়ে হলো। বিয়ের রাত। নেংটি বেশ খুশি। অতিথিদের সমাগম। আমরা পাশাপাশি বসে আছি। অনুরোধ এলো গান গাইতে হবে। আমার নতুন বউ সুগায়িকা। যথারীতি সে রবীন্দ্রসঙ্গীত ধরল,
– তোমারি গেহে পালিছ স্নেহে, তুমি ধন্য ধন্য হে
আমার প্রাণ তোমারি দান, তুমি ধন্য ধন্য হে \
পিতার বক্ষে রেখেছ মোরে, জনম দিয়েছ জননীক্রোড়ে,
বেধেছ সখার প্রণয়ডোরে, তুমি ধন্য ধন্য হে \
তোমার বিশাল বিপুল ভুবন করেছ আমার নয়নলোভন–
নদী গিরি বন সরসশোভন, তুমি ধন্য ধন্য হে\
এবারে সবার পালা আমাকে ফাঁসানোর। আমি বললাম যে আমি জীবনে গান গাইনি। গলায় একটুও সুর নেই। সে পাড়ার লোকে হই হই করে উঠল, মিথ্যা কথা, মিথ্যা কথা, দারুণ কৌতুকগীতি গায়। ভয়ে ভয়ে তাকালাম শ্বশুরের দিকে। চাপে বৌয়ের বাপ বললেন, গাও, সবাই যখন বলছেন…। গাইলাম আমার বউয়ের গাওয়া গানেরই প্যারোডি।
– তোমারি জেলে আনিলে ঠেলে, তুমি ধন্য ধন্য হে।
আমারি গান তোমারি নাম, তুমি ধন্য ধন্য হে \
রেখেছ সান্ত্রী পাহারা দোরে, আলোর কক্ষে জামাই আদরে
বেঁধেছ শিকল প্রণয়ডোরে, তুমি ধন্য ধন্য হে \
আকাড়া চালের অন্ন লবণ করেছ আমার রসনালোভন–
গুড়ো ডাঁটা ঘাঁটা লপসী শোভন, তুমি ধন্য ধন্য হে।।
সবাই হৈ হৈ করে উঠল। দেখি আমার বউয়ের মুখ ভার। জিজ্ঞাসা করল,
– আজ কাকে ঠুকলে এই প্যারোডিতে? আমার বাবাকে না মা’কে?
– তোমার এমন মনে হলো কেন?
– ওই যে ‘তোমারি জেলে আনিলে ঠেলে’ বা ‘রেখেছ সান্ত্রী পাহারা দোরে’ এসব শুনে মনে হচ্ছে বাবাকে, আবার ‘আকাড়া চালের অন্ন লবণ’ শুনে মনে হচ্ছে মা’কে দিলে। তুমি পারো বটে। ইনস্ট্যান্ট বানাতে পারো।
– হা হা হা, এটা আমার বানানো প্যারোডি নয়। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন যখন তাকে জেলে পাঠানো হলো অবশ্যই রবিঠাকুরের গানের প্যারোডি করে। তখন তোমার বাবা-মা জন্মাননি।
কাহিনী এখানেই শেষ হলে ভালো হতো। কিন্তু হলো না এক অর্বাচীনের জন্য। এখন আমি কলকাতায়। নেংটি এখন আমার দাপুটে বউ। কেউ কোন সাতে পাঁচে নেই। প্যারোডিও এখন চলে না। হঠাৎ পুরো বাংলা বেশ নড়ে উঠল। কি ব্যাপার? কে এক রোদ্দুর রায়ের অনুপ্রেরণায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে দোল উৎসবে গুটি কয়েক ছাত্রী রবীন্দ্রনাথের ‘চাঁদ উঠেছিল গগনে’র আগে কাঁচা নোংরা খিস্তি শব্দ যোগ করে তুমুল গান গেয়েছে। উন্মুক্ত পিঠে সেসব কথা লিখে নেচেছে। তাই ডাক উঠেছে ত্রাহি ত্রাহি। একদন বলছে যে এটা প্যারোডি, আরেক দল বলছে এটা অশ্লীল।
আমার এক ছোটবেলার বন্ধু একটি চ্যানেল হেড। ফোন করে বলল, এর উত্তর তোকে প্যারোডিতে দিতে হবে। ‘না’ বললাম না, চাইলাম না হয়তো। বললাম, আসছি তোর চ্যানেলে সময়মতো। গেলাম, অনেক রথী-মহারথী হাজির, লাইভ চলছে এ বিষয়ে। ব্রেকে আমাকে বসানো হলো। শুরু হতেই আমার পালা। আমার প্রতিক্রিয়া দিলাম গানে, মানে প্যারোডি গানে,
– পোকা ধরা দাঁতে/জুতো মেরে তাতে/ফেলে দিয়েছি যে উঠোনে
ভুল করে তাকে/নামাতে নামাতে/প্রচার ফেলছ করে এমনে
এখন আমার কথা নাহি আর/বলিব সকলে দাও ওকে ঝাড়
কহিনু যে কথা চ্যানেলে তোমার/সে কথা ভুলো না, ভুলো না।
কয়েক ঘণ্টায় ভাইরাল হলো ‘সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে’র প্যারোডি গানটি। বুঝলাম রবীন্দ্রনাথের গানের প্যারোডি বাঙালি সহ্য করে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গানে অশ্লীলতা নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়