শিরীন আখতার কর্মহীন মানুষের খাদ্যের দায়িত্ব সরকারের

আগের সংবাদ

ফ্রান্সের নারী নির্মাতার হাতেই এবার ‘স্বর্ণপাম’

পরের সংবাদ

রিফারবিশড স্মার্টফোনের বাজার সম্প্রসারিত

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২০২০ সালের প্রথমার্ধে করোনার কারণে প্রযুক্তি বাজারে এ খাত লোকসানের মুখে ছিল। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ায় রিফারবিশড ফোনে সরবরাহও বৃদ্ধি পায়।
বাজারের গতিশীলতা নিয়ে কাউন্টারপয়েন্টের সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট গেøন কার্ডোজা বলেন, ২০২০ সালের প্রথমার্ধে বাজারে স্মার্টফোনের সরবরাহ সীমিত ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে চাহিদা ও সরবরাহ দুটোই বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাজার চালু হওয়ার পর রিফারবিশড স্মার্টফোন বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য বিক্রি ও রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২০-এর দ্বিতীয়ার্ধে সব অঞ্চলেই বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। তবে লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বাজার কিছুটা শ্লথগতিতে এগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারত ও আফ্রিকায় চাঙ্গা ভাব লক্ষণীয়। সেসঙ্গে দেশগুলো রিফারবিশড ফোনের উৎপাদন ও সরবরাহ-সংক্রান্ত কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করে।
রিফারবিশড ফোনের বাজারে অ্যাপল নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছিল। এ বিষয়ে রিসার্চ ডিরেক্টর জেফ ফিল্ডহ্যাক বলেন, রিফারবিশড ফোন হলেও বাজারে অ্যাপলের চাহিদায় কোনো কমতি দেখা যায়নি। পারতপক্ষে গত কয়েক বছরে অন্য প্রতিদ্ব›দ্বীদের তুলনায় অ্যাপলের চাহিদা ও সুনাম আরো বেড়েছে। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বিশ্বে অ্যাপলের শেয়ার ছিল মাত্র ১৩ শতাংশ। যেখানে একই সময়ে সেকেন্ডারি মার্কেটে এ শেয়ারের হার ছিল ৪৪ শতাংশ।
এছাড়াও, সেকেন্ডারি বাজারে অ্যাপল ডিভাইসের গড় বিক্রিত মূল্য অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় তিনগুণ বেশি। এমনকি বিশ্বের ৭০টি দেশের ১৫০টি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করলেও এলটিই প্রযুক্তি সংবলিত রিফারবিশড অ্যাপল ডিভাইসের চাহিদা ও গড় বিক্রিত মূল্য বেড়েছিল।
এটি অ্যাপলের সেকেন্ডারি বাজার বাড়াতে সাহায্য করছে। কেননা এখানকার অধিকাংশ ক্রেতাই প্রথমবারের মতো অ্যাপলের রিফারবিশড পণ্য ক্রয় করছেন।
কার্ডোজা বলেন, সেকেন্ডারি বাজারের কেন্দ্র হিসেবে চীন ধীরে ধীরে তালিকা থেকে সরে যাচ্ছে। দেশটিতে পণ্যের উচ্চ চাহিদা থাকলেও স্মার্টফোনের প্রধান প্রধান যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে। এছাড়াও সেখানে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নজরও রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়