বিষাক্ত কেমিক্যালে নামি ব্র্যান্ডের নকল পানীয় তৈরি : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২

আগের সংবাদ

সংক্রমণ বাড়ার পথ খুলল!

পরের সংবাদ

আটকে থাকা এসএসসি এইচএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে সরকার কী ভাবছে, তা আজ বৃহস্পতিবার জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিন বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটিও। এর ফলে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নেয়ার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, এ অবস্থায় ‘অটো পাস’ না দিয়ে যে কোনো উপায়ে মূল্যায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এবার শিক্ষা বোর্ডগুলোও একেবারে ‘অটো পাস’ দিতে চায় না।
প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি আছে।
জানা গেছে, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কীভাবে বিকল্প মূল্যায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা না নেয়াসহ এ কমিটির তিনটি প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্র জানায়, এই দুই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে পাস করানোর চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য একাধিক প্রস্তাব তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবে বলা হয়, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়েও পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা যায়। আরো প্রস্তাব করা হয়, ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। অর্থাৎ সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এ পরীক্ষা নেয়া যায়।
এটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমের ওপর ৫০ শতাংশ ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা যায়। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল প্রকাশের জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছিল।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়ার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরীক্ষা আয়োজন করা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এ অবস্থায় এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিকল্প মূল্যায়নের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তবে কীভাবে বিকল্প মূল্যায়ন করা যায়, তা ঠিক করতে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের (বেডু) সদস্যরা রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়