কাগজ ডেস্ক : ব্রাজিলে ইতোমধ্যেই পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। কোভ্যাক্সিন আমদানি কেন্দ্র করে অর্থ কেলেঙ্কারিতে তার নাম উঠেছে। সব মিলিয়ে বোলসোনারোর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ব্রাজিলের জনতা। গত শনিবার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তীক্ষè আক্রমণ-বার্তার প্লাকার্ড হাতে রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
জার্মানি সংবাদ মাধ্যম ডয়েচভেলের বরাতে জানা যায়, প্রেসিডেন্টবিরোধী পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। কারো পোস্টারে লেখা, প্রেসিডেন্ট খুনি। কেউ আবার পোস্টারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের ডাক দেন। মোটের ওপর বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, আরো ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করুক সরকার।
মহামারি পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা বা পারস্পরিক দূরত্ব রেখে চলার মতো বিধিনিষেধ পালন কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কোভিড ইস্যুতে কোনো কিছুকেই তেমন গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি বোলসোনারোকে। দেশের মানুষের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও এর ছায়া পড়েছে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
প্রতিষেধক আমদানি নিয়ে বোলসোনারো প্রশাসনের গড়িমসি ঘিরে ইতোমধ্যেই পার্লামেন্টারি কমিটির তদন্ত শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রতিষেধক না আনিয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো কম কার্যকর ওষুধের দিকে প্রেসিডেন্টের ঝোঁক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিটি। তার মধ্যে কোভ্যাক্সিনের ‘জাল বরাত’ দিয়ে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করার চক্রান্তের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের নাম জড়ানোয় ক্ষোভে ফুঁসছে ব্রাজিল।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের দাবি, চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র নেই। পার্লামেন্ট কমিটির তদন্তকেও রাজনৈতিক ‘চক্রান্ত’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।