কাল থেকে শুরু কুরবানির পশুর ডিজিটাল হাট

আগের সংবাদ

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনীহা

পরের সংবাদ

লকডাউনে অতিরিক্ত চিন্তা নয়…

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এছাড়া আগে থেকেই বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ব্যতিত বন্ধ সরকারি- বেসরকারি অফিস, আদালত। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। ফলে গৃহবন্দি হয়ে অফিসের কাজ করার পরও কাটে না দুশ্চিন্তা। অস্থিরতা বিরাজ করে মনের মধ্যে। এসব কাটিয়ে উঠতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন জেনে নেই সেসব সম্পর্কে

যথাসময়ে কাজ : মনোবিদরা বলেছেন, বাড়িতেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেরে ফেলুন অফিসের যাবতীয় কাজ। বাসায়ও চলুন রুটিন মেনে। একটানা কাজ করতে ভালো না লাগলে মাঝেমধ্যে একটু বিশ্রাম নিন। যেটা অফিসে চা পান করতে করতে হতো।

চুপচাপ থাকা নয় : কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলুন অফিসের সহকর্মী এবং পরিচিত বন্ধুদের সঙ্গে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইন্টারনেট, ফোন কল, ভিডিও কল এবং সোশ্যাল সাইটে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক ও মনোবিদরা।

অতিরিক্ত চিন্তা: অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। সময়ের সাথে সাথে সব পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে হয়। ফলে ঘরে বসে উল্টা-পাল্টা চিন্তা করে বিপদ বাড়াবেন না। অবসরে খবরের কাগজ, গল্পের বই পড়–ন। তাছাড়া ভালো-মন্দ রান্না করে হাত আরও পাকা করে ফেলুন।

আতঙ্ক নয় : দেশের এমন পরিস্থিতিতে অযথা আতঙ্কিত হবেন না। যারা বাড়ি থেকে দূরে রয়েছেন, তারাও মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ মানসিক উদ্বেগ বা চিন্তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দেয়। ফলে এ সময়ে ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

রুটিন মেনে চলুন : অফিসের দিনগুলোতে যেভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রুটিন মেনে চলতেন। লকডাউনেও একই নিয়মাবলী মেনে চলুন। কারণ সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। ফলে রুটিন মেনে চলা নিজের এবং পরিবারের জন্য জরুরি।
শান্ত থাকুন : এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন। মাথা গরম করে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ফলে সুস্থ-স্বাভাবিক থাকুন। আর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

রান্না করুন : অবসর কাটাতে সময় সুযোগ বুঝে রান্না করুন পছন্দের সব রেসিপি। নতুন কোন রান্না শিখতে সাহায্য নিতে পারেন ইউটিউবের বিভিন্ন রান্নার চ্যানেলগুলোর। তবে মনে রাখবেন, জীবনের প্রতিটি ধাপেই আমরা কিছু না কিছু শিখি। নতুন কিছু শিখতে থাকলে প্রতিটি দিনই নতুন মনে হবে।

অবসরে ব্যায়াম : শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে কর্টিসল বা এড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের অন্যান্য অংশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিষণ্ণতা বেড়ে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। নিয়মিত ব্যায়ামে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্যায়াম মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় বলে শরীরের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সপ্তাহে তিন দিন ২০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করলে ৬ সপ্তাহে বিষন্নতা কমে যায়।

সৃজনশীল কাজ : লকডাউন অবস্থায় অফিসের কাজের পর নিজের মতো সময় পরিচালনা করুন। এ সময় সৃজনশীল কাজেও মনোনিবেশ করতে পারেন। যা এতদিন অফিসের কাজের চাপে সম্ভব হয়ে উঠছিল না। সেরে ফেলুন সেসব জরুরি কাজ। তবে তা অবশ্যই যেন ঘরের মধ্যে হয়।

বিষন্নতার লক্ষণ
নেগেটিভ মুড বা মুড সুইং, কাজে আগ্রহ হারানো, শারীরিক অস্থিরতা, যেমন: হাত নাড়ানো বেড়ে যাওয়া বা নড়াচড়া কমে যাওয়া, কথা কম বলা, হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘুমানো বা ঘুম কমে যাওয়া, ক্লান্তিবোধ, তীব্র অপরাধবোধ কাজ করা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, সবকিছুতেই অনাগ্রহ প্রকাশ, আত্মহত্যার প্রচেষ্টা।
মডেল : বিদ্যা সিনহা মিম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়