বাবলু দাশ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে জনসমাগম ও অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে দেশের প্রতিটি স্থানের জন্য সরকারি বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে। সেই সঙ্গে হাটহাজারী উপজেলাকে করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ২০ এপ্রিল থেকে হাটহাজারীতে লকডাউন কার্যকর করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সামজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে নিয়মিত অভিযান আর মানুষের মাঝে সতকর্তা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে চলছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল। তারপরও একশ্রেণির মানুষ সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে করোনা ঝুঁকিকে অবহেলা করে যাচ্ছে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, হাটবাজার, খেলার মাঠ, পাড়ার অলিগলি ঘুরে চোখে পড়ে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনের দৃশ্য। বিশেষ করে বিকালে খেলার মাঠগুলোতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসন বিভিন্ন সময় এসব খেলার মাঠে অভিযান চালালেও তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সাময়িকভাবে পালিয়ে যায় কিশোররা।
প্রশাসন ওই স্থান ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে আবার জমে উঠছে খেলার মেলা। এভাবে প্রতিদিন উপজেলার শত শত কিশোর করোনা ঝুঁকি নিয়ে মাঠে খেলা করছে। অন্যদিকে পাড়ার অলিগলির আড্ডা তো আছেই।
পাড়ার চায়ের দোকানগুলোতে নানা কৌশলে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান বন্ধ করে দেয়। বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলাচল করছে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বিভিন্ন সময় এসব গাড়িচালককে জরিমানাসহ বিভিন্ন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। উপজেলার আমানবাজার, চৌধুরী হাট, হাটহাজারী বাজার, সরকার হাট, কাটিরহাটসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নানা অজুহাতে মানুষ প্রতিদিন বাজারে আসছে। এসব অজুহাত সামাল দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেকায়দায় পড়ছে প্রশাসন।