আন্দোলনে গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবি ইশরাকের
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরীহ সাধারণ জনগণের ওপর গুলি চালানো পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার জজ কোর্ট এলাকায় আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়ে বিএনপির এ নেতা এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন, যারা আন্দোলন দমনের নামে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করেছেন তারা সন্ত্রাসী। তারা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নয়। তাই দ্রুতই তাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করতে হবে। দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখী করতে হবে। একইসঙ্গে নতুন করে এসব রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা যেন আর কোনো দলীয় দাসে পরিণত না হয় সেটি মাথায় রেখে পুলিশ বাহিনী সংস্কারেরও দাবি জানান জানান তিনি।
পুলিশের সংস্কার নিয়ে ইশরাক হোসেন আরো বলেন, পুলিশ বাহিনী যেন কোনো দলের বা ব্যক্তির লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত না হয়। তারা জনগণের সেবক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয়। সুতারাং জনগণের সঙ্গে যেন প্রভুত্ব না দেখায়। আমরা চাই আগামী দিনে পুলিশের সদস্যরা এমন আচরণ আর না করুক। যারা নিরীহ জনগণের ওপর, শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে তারা পুলিশ নন।
আরো পড়ুন: খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি
ধোলাইখাল এলাকায় গিয়ে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতকর্মীদের নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হাবিবুল্লাহ বাহারের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের মা ও বাবা।
নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর মা জানান, তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষমই ছিলেন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী। সে পড়াশুনার পাশাপাশি ধোলাইখালে পার্টসের দোকানে কাজ করতো। তার নিহত হওয়ায় আর্থিক বেশ অসুবিধায় পড়েছে পরিবার।
এ সময় ইশরাক হোসেন তার পরিবারের পাশে থাকারও ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে সরকারের কাছে দাবি জানান, আব্দুল্লাহ সিদ্দীকসহ এই আন্দোলনে নিহত হওয়া প্রত্যেক পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর বাসায় যাওয়ার পথে একই এলাকার গুলিবিদ্ধ ১০ বছরের দুই শিশুরও শারীরিক খোঁজখবর নেন বিএনপির এই নেতা।