গণতান্ত্রিক প্রগতীশীল ছাত্রসংগঠনের ’৯০ এবং ’৯০ পরবর্তী সাবেক নেতৃবৃন্দের বৈঠক গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকাল ৩টায় ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চাকসু ভিপি এানমুল হক শামীম। সভা পরিচালনা করেন- জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান চুন্নু। সভায় জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহিল কাইয়ুমকে পরবর্তী কার্যক্রমকে সমন্বয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।  

সভায় বক্তব্য  রাখেন-ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইছহাক আলী খান পান্না, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারি, সাবেক ছাত্রনেতা পঙ্কজ দেব নাথ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, জাসদ ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন,  ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, সাবেক সভাপতি সাব্বাহ আলী কলিন্স এবং ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মোশাহিদ আহমেদ।

এছাড়া ছাত্রকেন্দ্রের সাবেক সভাপতি রাজু আহমেদ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দীন ফরাজী, সাবেক ছাত্রনেতা মোজবাউল হাসান সাচ্চু,  আফজালুর রহমান বাবু, গোলাম রাব্বানী চিনু, খায়রুল হাসান জুয়েল, জাতীয় ছাত্রঐক্যের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশোক ধর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জিয়াউল হক মুক্তা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক  সভাপতি সামসুল ইসলাম সুমনসহ ৩৮ জন সাবেক ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সাবেক ছাত্রনেতাবৃন্দ  কোটা আন্দোলনকে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা  সাম্প্রতিক ঘটনায় তরুণ শিক্ষার্থী, সাধারণ পথচারী, সাংবাদিক,  পুলিশ নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। আন্দোলনে আহত চিকিৎসার ব্যয় ভার ও নিহতদের  পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেয়ার আহ্বান জানান। সভায় সাবেক নেতৃবৃন্দ, কোটা আন্দোলনের নাম বিএনপি-জামাত-জঙ্গীবাদী শক্তির সুপরিকল্পিত, সুসংগঠিত  ধ্বংসাত্মক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।  

তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের  রায় ও নির্দেশনার আলোকে সরকার কর্তৃক দ্রুত পরিপত্র জারি করে সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়া আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধারণ করার আহবান জানান এবং অর্জিত বিজয় ধরে রেখে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। বক্তারার বলেন, কোটা আন্দোলন হাইজ্যাক করে বিএনপি-জামায়াত-জরিরা যাতে অপরাজনীতি করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গিদের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ নৈরাজ্য  প্রতিহত করার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান তারা।