×

রাজনীতি

ড. মঈন খান

মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম

মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ

ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নতুন করে গণমাধ্যমের স্বাধীন প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীন প্রতিষ্ঠা করব, এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ। 

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

ড. মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার। 

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলেন সম্বোধন করেন। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগের কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়? 

বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, অথচ সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মুলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা স্বাধীনতা থাকে না।

বিএফইউজের সভাপতি রহুল আমিন গাজী সভাপতির বক্তব্য বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে, সাগর রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। ৫০০ শতাধিক পত্রিকা বন্ধ কটে দেয়া হয়েছে। এমপি মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিক ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। অনেকে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন নিশ্চিত করতে হবে।

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে ভয়াবহ ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে আজকে সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও গণমাধ্যমর টুটি চেপে ধরা হয়েছে। সরকার হাতিয়ার হিসেবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। অনিয়ম দুর্নীতি প্রকাশ করলে সেসব গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এটাই কি গণমাধ্যম স্বাধীনতা? ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে না পারলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে না?

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞাপন বাজার ১২০০ কোটি টকার বেশি। কিন্তু এই বিজ্ঞাপন এখন চলে যাচ্ছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেলে। আগে মানুষ সকাল বেলা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পত্রিকা পড়তো, আর এখন সত্য খবর না থাকায় তারা বিমুখ হয়ে পড়েছে।

বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ,ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা খায়রুল বাশার, একেএম মহসিন,বাছির জামাল এহতেশামুল হক শাওন, রফিক মুহাম্মদ, রাশেদুল হক, শহীদুল ইসলাম,দিদারুল আলম, শাহনাজ পলি,খন্দকারর আলমগীর হোসেন, সাঈদ খান প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App