×

রাজনীতি

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম

আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে

ছবি: ভোরের কাগজ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিরায়িত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনভাবেই সম্ভব ছিলোনা। আগে আমি স্পিড বোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতাম। সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো। এখন পদ্মা সেতুর কারণে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আমরা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি, তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোন ধাক্কাধাক্কি নেই । 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে দেখতাম লঞ্চ ছেড়ে যাবে রাত ৮টায় কিন্তু জায়গা পাওয়ার জন্য দুপুরের খাওয়া দাওয়া নিয়ে সকাল বেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতো যাত্রীরা । বর্তমানে সেই অবস্থাটা নাই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের কাছে একটা লোভনীয় ছবি ছিলো, সে ছবিতে পুরো লঞ্চ থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গতকালকে (৪ এপ্রিল) আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখছিলাম। পরে বললাম এটা এখন একটা ইতিহাস, এটা আর ফিরে আসবে না। 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারতো না। এখন তারা একটু স্বস্তিতে আছে। নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেয়াসহ পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিকরা ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো রাখতে আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যাত্রী সাধারণকে সেবা দেয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। 

অন্যদিকে মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। পাঁচ বছরে তেমন কিছু করতে না পারলেও বিগত পনেরো বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন। সদরঘাটের সঙ্গে যেনো মেট্রোরেলের কানেকশন হয় সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। 

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণঞ্চালবাসীও মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবে। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পারবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সদরঘাটও এই সুবিধা পাবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিলো। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে। বন্দরটি হওয়াতে ওই অঞ্চলের সিনারিও পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই পদ্মা এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিয়ের চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব মোস্তফা কামাল ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্য সেলিম ফকির।

সবশেষে প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে নৌযান ও ঘাট কর্মীদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App