×

রাজনীতি

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম

 পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরাস্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এই প্রশ্ন তুলেন।

তিনি বলেন, আজ ১৫ বছর পার হয়েছে। একটি কথা আছে বাংলায়, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। ‘ইংরেজী ভাষায় একটি উক্তি আছে- যদি বিচার বিলম্বে হয় তাহলে সেই বিচারের কোনো মূল্য থাকে না। কাজেই আজ আমরা শুনছি, সেই বিচার প্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে… কেনো ঝুলে আছে, কেনো সেই অভিযোগে যাদেরকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে… তারা আজকে পর্যন্ত বিনা বিচারে কেনো তারা কারাবাস করছে?

মইন খান আরো বলেন, ‘একটি জাতির ইতিহাসে এই ধরণের দু:খজনক ঘটনা কখনো ঘটেছে কি-না আমাদের জানা নেই। আজকে আমরা শুধু একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পান… আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি। অপরাধী শাস্তি পাবে সে সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নাই।'

তিনি বলেন, বিচার কাজে কখনো কোনো ইন্টারফেয়ারেন্স করা ঠিক না। বিচারকরা তাদের নীতিতে অবিচল থেকে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে এই বিষয়টি অতি দ্রুত সুরাহা করবেন- আজকে ১৫ বছর পর আমরা সেই প্রত্যাশা করি।

সকাল সাড়ে ১০টায় আবদুল ম্ঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বনানী সামরিক কবরাস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করে এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহি আকবর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীনসহ তৎকালীন বিডিআরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের কতিপয় বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের হাতে নিরস্ত্র সেনা সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ১৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে নিহতদের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

পিলখানার বিদ্রোহ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা হয়। ওই ঘটনায় হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App