×

রাজনীতি

চুন্নুর প্রশ্ন

সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে অফিসাররা কি করে পার পায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১২ পিএম

সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে অফিসাররা কি করে পার পায়

ছবি: সংগৃহীত

যে কোনো মামলা হলে রজনীতিবিদরা পার পায় না অথচ ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করার পর এক জন সরকারি অফিসারকে বাঁচানোর জন্য সরকারি বিধিমালা চরম লঙ্ঘন কি করে হয় তা নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে দেয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এক প্রশ্ন করেন।

পত্রিকার প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নিউরোলজি সাইন্সের বিল্ডিং নির্মাণ এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আইটির কাজ পান জি কে শামীম। যখন জি কে শামীম গ্রেপ্তার হয় তখন কাজের বিষয়ে অনেক সমালোচনা হয়, তদন্ত হয়। একজন অতিরিক্ত সচিব তদন্ত করে বলেছেন জিকে শামীমকে ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দেয়া হয়েছে। মানে কাজের যা বিল তার থেকে আরো ১০ কোটি টাকা বেশি দেয়া হয়েছে, কেনো দেয়া হয়েছে এর কোনো কারণ নেই।   

তদন্তে বেরিয়ে আসলো জিকে শামীমের দুইটি কাজেই ডিফল্ট আছে। ঠিকাদারের যে শর্ত সেই শর্ত বরখেলাপ করা হয়েছে, এতে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালা অনুযায়ী দুইটি পৃথক কাজই জিকে শামীমের কাছেই থাকে। তার ১০ কোটি টাকা যে কাজে অগ্রিম দেয়া হয়েছে এই টাকাটা সমন্বয় করার জন্য আরেকটা জয়েন্ট ভেঞ্চার করে, সেই জয়েন্ট ভেঞ্চারের কাজের পাওনা হিসেবে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়।  

এটা আইনের চরম লঙ্ঘন। কারণ তার ওই কাজের কারণে এই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে সরকারের খাতে, কিন্তু টাকা বাজেয়াপ্ত না করে এক জন অফিসারকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত নিয়মকানুন উপেক্ষা করে- লঙ্ঘন করে সেই ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।

চুন্নু বলেন, আমরা রাজনীতিবিদ যে কোনো বিষয়ে একটা মামলা হলে পার পাই না, এক জন সরকারি অফিসার ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিলো আর তাকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, রুলস, সরকারি ক্রয় বিধিমালা চরম লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হলো।  

তিনি আরো বলেন, আমি পূর্তমন্ত্রী মহোদয়, যিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স দেখাবেন; আমি আপনার(স্পিকার) মাধ্যমে উনার(মন্ত্রী) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো, একজন সচিব কি করে এতো বড় একটা বিষয়কে উপেক্ষা করেন, মন্ত্রীর অনুমোদন লাগে নাই, মন্ত্রী অনুমোদন ছাড়াই এই কাজটা করেছেন। কিন্তু শাস্তি হিসেবে শুধুমাত্র তার বেতন এক গ্রেড নিচে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ একই কাজের জন্য আর একটা ঘটনায় একজন তত্ত্বাবধায়ককে ডিমোশন দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App