×

রাজনীতি

বিরোধী দল স্বতন্ত্র নাকি জাপা, আইনে কী আছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২ পিএম

বিরোধী দল স্বতন্ত্র নাকি জাপা, আইনে কী আছে
  • বিরোধী দল কারা হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন
  • আইনে কী বলা আছে
  • সংবিধান বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন 
  • ইতিহাস কী বলে
  • যা বলছেন আ.লীগের স্বতন্ত্ররা ও জাতীয় পার্টি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয় পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হলেও দল হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়ায় জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল হবে। সে হিসেবে জি এম কাদের হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা এবং সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ হচ্ছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা। তবে সংসদে বিরোধী দল কারা হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

বিরোধী দল নিয়ে আইনে কী বলা আছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার পাঁচ গুণের বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দল না হলেও স্বতন্ত্র এমপিরা জোট বেঁধে সংখ্যায় বেশি হলে বিরোধী দল হতে পারবেন কিনা– এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা নেই সংবিধান, আইন ও সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে। আইন ও বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’ সেই হিসেবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলেও বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয়।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন 

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার গঠন করতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে হবে, এটা সংবিধানে বলা আছে। তবে বিরোধী দলের বিষয়ে বলার কিছু নেই। প্রথা বা রেওয়াজ হচ্ছে, সরকারি দলের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দলই বিরোধী দল হবে এবং সেই দলের নেতা বিরোধী দলের নেতা হবেন। সেখানে তাদের কতটি আসন থাকতে হবে, এ রকম কোনো বিষয় নেই। সে কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিরোধী দল হবেন, কোনো কোনো স্বতন্ত্র এমপি এমনটা বলে আসছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হবে না। জাতীয় পার্টিই বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেই অধিবেশনের আগে চূড়ান্ত করা হবে বিরোধী দল কারা হচ্ছে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা আরো জানিয়েছেন, স্পিকার স্বীকৃতি না দিলে বিরোধী দল ছাড়াই সংসদ চলতে পারে। এর আগে স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ও ষষ্ঠ সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর গঠিত চতুর্থ সংসদে বিশেষ বিবেচনায় বিরোধী দল করা হয়। ১৯৮৮ সালে বিশেষ বিবেচনায় কয়েকটি দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সম্মিলিত বিরোধী দলকে বিরোধী দল এবং তাদের নেতা আ স ম আবদুর রবকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এখানে বিরোধী দলের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারি দল জাতীয় পার্টির আগ্রহের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল।

বিরোধী দল নিয়ে ইতিহাস কী বলে

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে এই পরিস্থিতির মিল পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগ সেসময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টিতে জিতেছিল এবং বিরোধী দল ও স্বতন্ত্ররা সাতটি আসন পায়। সেসময় সাতজন সংসদ সদস্য বিরোধী দল গঠনের দাবি করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা প্রত্যাখ্যান করেন। প্রথম সংসদে কোনো বিরোধী দল না থাকলেও সাতজনের জন্য সংসদে একটি কক্ষ বরাদ্দ ছিল। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে প্রায় ছয় ডজন দলের সমন্বয়ে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠিত হয়। জোটটি তৎকালীন ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯টি আসন পেয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং অন্যান্য কয়েকটি দল ওই নির্বাচন বয়কট করেছিল।

১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, যা আওয়ামী লীগসহ বেশিরভাগ দল বর্জন করেছিল, সেবারও সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। সেই সংসদ মাত্র ১১ দিন স্থায়ী হয়েছিল। ওই নির্বাচনে তিনটি দল অংশ নেয় এবং বিএনপি ২৭৮টি আসনে জয়লাভ করে। ফ্রিডম পার্টি পেয়েছিল একটি আসন এবং স্বতন্ত্ররা পেয়েছিল ১০টি আসন। এছাড়া ১০টি আসনে ফলাফল স্থগিত করা হয় এবং একটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩০টি আসন পাওয়া বিএনপি সংসদে বিরোধী দল হিসেবে ছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩৪টি আসন পেয়ে বিরোধী দল গঠন করে জাতীয় পার্টি। এসময় স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের নিয়ে ১৬ সদস্যের জোট গঠন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বতন্ত্ররা সংসদে বিরোধী দল গঠন করতে চাইলে এবারও এ ধরনের জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিরোধী দল নিয়ে যা বলছেন আ.লীগের স্বতন্ত্ররা 

বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু। স্বতন্ত্র এমপিরা বিরোধী দলে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন এই নেতা। তিনি বলেন, ‘সরকারের যে কোনো ভালো কাজের সমর্থন করব। জনস্বার্থবিরোধী হলে সর্বোচ্চ বিরোধিতা করা হবে। যেহেতু সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে না, তাই বিরোধী দলের এমপির মতো সংসদে থাকতে চাই। বাইরে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে থাকবে।’

সরকারে থাকতে আগ্রহী বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের টানা তিনবারের এমপি পঙ্কজ নাথ। তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ অনুমোদিত স্বতন্ত্র এমপি। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে সংসদে কাজ করব।’ সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী হলে কী করবেন– প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবস্থা বুঝে তখন সিদ্ধান্ত হবে। যতটুকু পারমিট করে, ততটুকু বিরোধিতা করব।’

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের স্বতন্ত্র এমপি ইয়াকুব আলী বলেন, ‘জোট গঠনের ব্যাপারে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি। শপথ নিয়ে এলাকায় ফিরেছি। বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথে ছিলাম। সেখানেও কারো সঙ্গে জোট গঠনের কথা হয়নি। স্বতন্ত্রদের নিয়ে জোট গঠনের ব্যাপারে ভাবছি না। প্রস্তাব এলে চিন্তাভাবনা করা যাবে।’

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে হারিয়ে আলোচনায় আসা কুষ্টিয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কামারুল আরেফিন বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপিদের নিয়ে জোট গঠনের সংবাদ পত্রিকায় পড়েছি। তবে কেউ আলোচনা করেনি।’ মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বতন্ত্র হিসেবে জিতলেও আওয়ামী লীগের বাইরে নই। তাই কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেব।’

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের স্বতন্ত্র এমপি এ বি এম আনিছুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখনো জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। নেত্রী যেভাবে বলবেন, সেভাবেই এগিয়ে যাব।’ ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র এমপি মাহমুদ হাসান সুমনও সরকারে থাকতে চান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। জাপার প্রার্থী ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে উন্নয়নে কাজ করে যাব।’

সরকারে থাকতে চান রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে হারানো স্বতন্ত্র এমপি শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি বলেন, ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে নির্বাচন করতে হয়েছে কাঁচি প্রতীকে। বুকে বঙ্গবন্ধুকে ধারণা করি। নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন, তা-ই করব। নেত্রীর নির্দেশের বাইরে নই। সংবিধান বা কোথাও বলা নেই, আওয়ামী লীগ করা যাবে না।’

স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকতে চান নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপিরা যাঁর যাঁর পদ-পদবি অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন।’ নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনের স্বতন্ত্র এমপি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আপাতত কোনো জোটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে চলব।’

রংপুর-৫ আসনে জয়ী স্বতন্ত্র এমপি জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘৩৭ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। অন্য কোনো জোট নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে থাকতে চাই।’ নীলফামারী-৩ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেলও স্বতন্ত্র জোটে নয়, আওয়ামী লীগে থাকতে চান। 

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের স্বতন্ত্র এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, ‘স্বতন্ত্র জোট আমার কাছে একটি অসহ্য ব্যাপার। আমি তা চাই না। আমি আওয়ামী লীগের। স্বতন্ত্র এমপি হয়েছি বলে বিরোধী দল, এটি মেনে নিতে পারছি না।’ 

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র এমপি আবদুচ ছালাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিলে স্বতন্ত্র জোটে যাব। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নই।’ একই কথা বলেছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র এমপি এম এ মোতালেব। 

নওগাঁ-৬ থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে জয়ী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে নেত্রী নৌকা প্রতীক দিতে পারেননি। কিন্তু তিনি তো আমাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। শেখ হাসিনা আমার নেতা। তাকে সহযোগিতা করাই আমার কাজ। সরকারি দল বা বিরোধী দল ওসব কিছু না। নেত্রী যা বলবেন আমি তাই করব। আর এর পরেরবার আমি তো নৌকা প্রতীক পাবো নিশ্চিত।

পিরোজপুর-৩ আসনের শামীম শাহনেওয়াজের বলেন, ‘‘আমরা ৬২ জন প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন ওটার দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। দেখা যাক। আমরা আবার নিজেদের মতোও থাকতে পারি। প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত দেন দেখি। তিনি জানান, ‘‘আমরা যারা স্বতন্ত্র নির্বাাচত হয়েছি তারা এখনো একসঙ্গে বসতে পারিনি। নিজেরা কথা বলতে পারিনি। বসার কোনো তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।’’

জাতীয় পার্টি যা বলছে

এবার জাতীয় পার্টি ১১ আসন পেলেও দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘‘আমরাই তো বিরোধী দল। তারা যারা স্বতন্ত্র সবাই আওয়ামী লীগের। এখন সংসদে যারা বিরোধী তাদের মধ্যে যে দল বা অধিসঙ্গকে স্পিকারের কাছে বড় মনে হবে তাদেরকে তিনি স্বীকৃতি দিতে পারেন বিরোধী দল হিসেবে। স্বতন্ত্রদের বিরোধী দল হতে হলে তাদের জোট বা দল গঠন করতে হবে। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছেন। ওই পদ ছেড়ে তারা নতুন দল বা জোট গঠন করতে পারবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। তার কথা, ‘‘তারপরও তারা যদি বিরোধী দলের স্বীকৃতি পায় তাহলেও প্রকৃত বিরোধী দল থাকব আমরাই। আমরা হয়তো বিরোধী দলের সুযোগ সুবিধা পাব না। সংদের প্রথম অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধী দল কারা তার সিদ্ধান্ত হয়।

টাইমলাইন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App