×

রাজনীতি

'মাঠে নামলে ২০-৩০টা মার্ডার হয়ে যাবে'

Icon

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম

'মাঠে নামলে ২০-৩০টা মার্ডার হয়ে যাবে'

ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রামে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে হুমকি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এসময় বলেন- তালিকা অনুযায়ী যদি গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে তারা মাঠে নেমে যাবেন এবং তাতে ২০ থেকে ৩০ টি খুন হবে। 

শনিবার (৬ জানুয়ারি ) সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমে নদভীর এমন হুমকির ভিডিওটি ভাইরাল হয়। পরে কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত নিউজ প্রচারিত হলে ওই নির্বাচনী এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়।   

সেই ভিডিওতে  নৌকার প্রার্থী নদভীকে এসময় বলতে শোনা যায়, ‘এখন আমার কথা হল যে- আপনারা সাত্তার সাহেব, শিবলী নোমান, ইউনুস সাহেব, আপনারা আমাকে দুইটার মধ্যে একটা কথা বলেন, কালকে থেকে আমরাও কি মাঠে নেমে যাব মারামারিতে? মাঠে নেমে যাব কি-না? আমাদের সাথে পারবে না, কিন্তু ২০ থেকে ৩০ জন মার্ডার হয়ে যাবে।করবো নাকি আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন’।  এসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা আসতেছেন সামরিক সচিব টেলিফোন করার পরে। সামরিক সচিব টেলিফোন করা মানে বুঝেন তো। আমাকে বিভাগীয় কমিশনার সাহেব বলেছেন, ডিসি সাহেব বলেছেন, ডিআইজি মিনা সাহেব বলেছেন- সামরিক সচিব কড়া অর্ডার দিয়েছে। এখন আপনারা কি করবেন না করবেন? এই যে তালিকা দিয়েছি, এই তালিকার যদি পুরো গ্রেফতার না করেন, তাহলে কালকে’।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, ‘ এটি নদভীর স্ত্রীর ওপর হামলা হওয়ার পরের একটি পুরাতন ভিডিও , যাহোক আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।’ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সাতকানিয়া সার্কেল) শিবলী নোমান খোরের কাগজকে বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না এবং এ ধরনের কোন ভিডিও দেখেননি। 

প্রসঙ্গত, সাংসদ নদভীর গানম্যান মামুনের বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্রের প্রভাব দেখানোর অভিযোগ উঠলে মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষে স্ত্রীসহ নিজের লোকজন আহত হওয়ার দাবী করে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন নদভী।

অপর দিকে ঈগল প্রতীকের ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব। কিছুদিন আগে মোহাম্মদ আমিন নদভী নামে পাকিস্তানী এক নাগরিক যিনি চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মরালিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজর হিসেবে কাজ করেন তিনি সাতকানিয়ায় ড. আবু রেজা নদভীর বাড়িতে গিয়ে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছ। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করেছেন যে, কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নেতাদেরকে নদভীর বাড়িতে এনে নির্বাচনের সময় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য বৈঠক করেছেন আবু রেজা নদভীর পাকিস্তানী বন্ধু আমিন নদভী। তবে এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আইনগত  কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। 


গত ১৩ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে দোয়া আনার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার চিত্র। একে একে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার আওয়ামী লীগের নেতারা ঈগলের জন্য কাজ শুরু করেন। পৌর মেয়র জোবায়েরসহ অনেকেই আগ থেকে মোতালেবের পক্ষে কাজ করছিলেন।


টাইমলাইন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App