ঝালকাঠি-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমির হোসেন আমুকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তলব করা হয়েছে।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন আমুকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে।

চিঠিতে ইসি জানায়, ‘ঝালকাঠি জেলা পাকহানাদার মুক্তি দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে জেলার নলছিটি উপজেলা পরিষদ হলরুমে ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় এবং ঝালকাঠি পৌরসভার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টায় নির্ধারিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার জন্য আপনি এফ এম মাহমুদ (কিরন), সহকারী একান্ত সচিব স্বাক্ষরিত একটি ভ্রমণসূচি জারি করেছিলেন।

উল্লেখিত ভ্রমণসূচির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, ঝালকাঠি ও রিটার্নিং অফিসার আপনাকে জানিয়েছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি আওয়ামী লীগের একজন মনোনীত প্রার্থী। অধিক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হলে তা জনসভায় পরিণত হতে পারে এবং ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর লঙ্ঘন হতে পারে। আচরণবিধি লঙ্ঘন না হলেও এ ধরনের জনসমাগম গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

ইসি জানায়, আপনি ওই জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং আপনার পক্ষে ভোটও চেয়েছেন। যার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখিত কার্যক্রম সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালায় বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১ঙ অনুযায়ী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।

ইসির চিঠিতে আরও জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপনাকে ইতোপূর্বে অবহিত করা সত্ত্বেও ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৩ সপ্তাহের আগে নির্বাচনী প্রচারণাসহ আচরণবিধি পরিপন্থি কার্যক্রমের জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে উপস্থিত হয়ে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় ব্যক্তিগতভাবে উল্লেখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লেখিত স্থান, তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে বর্ণিত বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।