×

রাজনীতি

নির্বাচন কমিশনকে অসহায় ও অকার্যকর করা হয়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম

নির্বাচন কমিশনকে অসহায় ও অকার্যকর করা হয়েছে
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশের সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করতে পারে না। কারণ, সেসব দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের ক্ষমতার আওতার বাইরে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের দলীয় নেতা-কর্মী বানানো হচ্ছে। দলীয় গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে নির্বাচনের কেন্দ্র দখল করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা কুক্ষিগত করে ফেলেছি। এভাবে নির্বাচন কমিশনকে অসহায় ও অকার্যকর করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করলেই ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের হাত-পা সরকারের কাছে বাঁধা উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এই কমিশন কারচুপির অভিযোগে গাইবান্ধায় একটি উপ-নির্বাচন বাতিল করেছে। সেই নির্বাচনের তদন্তে অনেকেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। কিন্তু কারোই শাস্তি হয়নি। উল্টো অভিযুক্ত অনেকেই নাকি পুরস্কৃত হয়েছে। পরবর্তীতে সেই নির্বাচন আবারো হলো ভোট ডাকাতির মাধ্যমেই। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি সরকারই নির্বাচন ব্যবস্থা নিজেরে আয়ত্বে রাখতে চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে যারাই ক্ষমতায় ছিল, তারাই আইন পরিবর্তন করে দলীয় লোকজন নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে। নির্বাচন এলেই বিরোধীরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে। কখনো সেই আন্দোলন সফল হয়েছে, কখনো হয়নি। এবার সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন সফল হবে কিনা, ভবিষ্যতে দেখা যাবে। ক্ষমতাসীনরা বিভিন্ন কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা নিজস্ব আয়ত্বে এনে সরকার গঠন করতে চাইবে। যতদিন না পর্যন্ত সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য বিদেশীদের একটি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করে। বিদেশীদের চাপ সরকারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত কি হয়, সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচন পর্যন্ত। তিনি বলেন, যে দলই ক্ষমতায় যায় তারাই ক্ষমতা ভোগ ও অপব্যবহার করে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কথা তাদের মনে থাকে না। জনগণের কাছে জবাবদিহিতার প্রশ্ন এলেই তারা জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতায় যেতে চায়। আমাদের রাজনীতিবিদরা কখনোই স্মরণ করে না যে জনগণই দেশের মালিক, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহতিা থাকলে দুর্নীতি, দুঃশাসন, বৈষম্য, অত্যাচার টাকা পাচার ও শোষণ থাকে না। জিএম কাদের বলেন, নেতৃত্বের কারণে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নষ্ট হয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আদর্শ নয়, লোভ-লালসা ও ব্যবসায়ীক দৃষ্টিতে রাজনীতি চলছে। ব্যবসা ও লুটতরাজের জন্য যেন রাজনীতি। এটা থেকে আমরা বের হতে পারছি না। আমাদের সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীরাও যেদিকে সুবিধা পায় সেদিকেই চলে। দেশ ও নীতি-নৈতিকতার কথা কেউ ভাবে না। এটা শুধু বর্তমান সরকারের আমলেই নয়, এর আগে যারা ছিল তারাও একই কাজ করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App