×

রাজনীতি

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ রুখতে রাজনৈতিক উদ্যোগ জরুরী: ওয়াকার্স পার্টি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২১, ০৫:৪৬ পিএম

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে চাই সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সাম্রাজ্যবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গীবাদ এক ও অভিন্ন। এরা পরস্পরের হাত ধরে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করে। সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতন্ত্রের বিকাশের স্বার্থে এই তিন শক্রকে নির্মূল করতে হবে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আনতে ’৭২ এর সংবিধান পুনঃপ্রবর্তনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

শনিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে দেশব্যাপি “সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবস” পালিত হয়। সম্প্রতি দুর্গাপূজা উদযাপনকালে দেশব্যাপি সাম্প্রদায়িক সংহিসতার প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টি ৬ নভেম্বর দেশব্যাপি “সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবস” পালনের আহবান জানান।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত “সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি এ বক্তব্য প্রদান করেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আবুল হোসাইন। বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, যুবনেতা সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, ছাত্রনেতা অতুলন দাস আলো। সমাবেশে আরোও উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, কেন্দ্রীয়নেতা তপন দত্ত চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এড. টিপু সুলতান, কৃষকনেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, খেতমজুরনেতা জাকির হোসেন রাজু, ঢাকা মহানগর নেতা মো. তৌহিদ, কমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, সাদাকাত হোসেন বাবুল, মুতাসিম বিল্লাহ সানি, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, আব্দুল আহাদ মিনার, শিউলী সিকদার, তাপস দাস, তপন সাহা, তাপস কুমার রায়, ওমর ফারুক সুমন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পার্টি কার্যালয়ের সামনে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রধান অতিথির ভাষণে ফজলে হোসেন বাদশা আরো বলেন, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট পরিবহন ধর্মঘটে জনজীবনে ভয়াবহ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি ও অযৌক্তিক পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানান।

তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেক চড়া, তার মধ্যে জ্বালানি মূল্যের বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার যে চাপ তৈরী করবে, তা হবে “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা” এর মত। গত দু’বছর করোনা অতিমারির অভিঘাতে মানুয়ের আয় অনেক কমে গেছে। দেশে নতুন ৩ কোটি ২৪ লাখ দরিদ্র সৃষ্টি হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেক হ্রাস পেয়েছে। এখন নতুন করে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে পণ্য মূল্য বাড়বে, পরিবহন ব্যয়ও বাড়বে। ফলে ব্যয় নির্বাহে সাধারণ মানুষের জন্য গভীর সংকট তৈরী করবে। জ্বালানি তেলের উপর আরোপিত বর্তমান শুল্ক হার কমিয়ে এই মূল্য বৃদ্ধি এড়ানো যেতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App