দক্ষিণাঞ্চলের অপার সম্ভাবনা গোলগাছের গুড়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
নোনা জলে জন্ম, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সবই নোনা। অথচ এর ডগা কাটলেই বেড় হচ্ছে সু-মিষ্ট রস। [ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
এ রস দিয়ে তৈরি হচ্ছে রসালো গুড়। আর এই গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আড়াই শতাধিক কৃষক পরিবার। [ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
এ গুড় ভূমিকা রাখছে দেশীয় অর্থনীতিতে। ভোক্তা পর্যায়ে গোলের গুড়ের চাহিদা বাড়লেও বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। ফলে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চাষিরা।[ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
ছোট ছোট খাল, ডোবা বাধ দেওয়ার কারণে লবণ পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মরে যাচ্ছে গোলগাছ। বর্তমানে লোকসানের মুখে হতাশায় এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকেই।[ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
তবে এ পেশাকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রতি বছর পতিত জমিতে গত বছর ৩০ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে। চলতি বছর আরো ২০ হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। [ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার জোয়ার-ভাটা প্রবহমান খাল, নদী নালা ও পতিত জমিসহ ডোবায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গোল বাগান। [ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
প্রায় শত বছর ধরে এ গোল গাছের রস দিয়ে গুড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ, চাকামইয়া, মহিপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার।[ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
বিশেষ করে পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন মাসে গোলগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতিদিন বিকেলে গাছের ডগা কেটে মাটির হাড়ি, প্লাস্টিক বোতল পেতে রাখা হয়।[ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
পর দিন সকালে হাড়ি থেকে রস সংগ্রহ করে টিনের তাওয়ায় উচ্চ তাপে তৈরি করা হয় গুড়। কখনো কখনো সকাল এবং বিকেল দুবেলা রস সংগ্রহ করেন চাষীরা।[ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
কোন ধরনের রাসায়নিক ছাড়াই গরম গুড় একটি পাত্রে রেখে ঘুটে তৈরি করা হয় উন্নতমানের গুড়। আর এ গুড় প্রতি কেজি বাজারে বিক্রি করা হয় ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে।[ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
এ গুড় খেলে ডায়াবেটিকসসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায় এমন দাবী কৃষকদের। [ছবি: আনোয়ার হোসেন আনু]
