×

সাময়িকী

মুর্তজা বশীরের চিত্রভুবনে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২০, ১০:০৯ পিএম

মুর্তজা বশীরের চিত্রভুবনে

মুর্তজা বশীর এই অঞ্চলের প্রথম প্রজন্মের শীর্ষ শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। এই সেদিন তিনি চলে গেলেন। তাঁর প্রয়াণে বাংলাদেশ হারালো একজন বর্ণময় জীবনের অধিকারী সৃজনশীল চিত্রকরকে। শিল্প-সাহিত্যের বহু শাখায় তাঁর অনায়াস দক্ষতা ছিল। লিখেছেন উপন্যাস, ছোটগল্প ও কবিতা। একসময় চলচ্চিত্র নির্মাণেও আগ্রহী হয়ে ছিলেন। যুক্ত হয়েছিলেন জহির রায়হানের সঙ্গে। এছাড়া তাঁর শখ ছিল মুদ্রা সংগ্রহের। প্রাচীনকালের বহু মুদ্রা তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। আজ আমাদের এ-কথা অবিদিত নেই যে, পঞ্চাশের দশকে সৃজনশীল লেখকদের সঙ্গে চিত্রকরদের সখ্য ও ভাববিনিময় পরস্পরের সঙ্গে সৌহার্দের সম্পর্ক এদেশে আধুনিকতার বীজ বপন করেছিল। শিল্প-সাহিত্যের জীবন-অনুষঙ্গী এই যে আধুনিকতা এ পঞ্চাশের দশকের কয়েকজন জিজ্ঞাসা-উন্মুখ যুবকের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত ফসল। ভাষা-আন্দোলন, স্বরূপ অনুসন্ধান ও বাঙালিত্বের চেতনা এঁদের সকলকে ঐতিহ্যমুখী এবং আধুনিকতায় নিমজ্জন সম্ভব করে তুলেছিল।

পঞ্চাশের দশকে এদেশের চিত্রচর্চার পথ সৃষ্টি করা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিক্ষক সফিউদ্দীন আহমেদ ও মোহাম্মদ কিবরিয়া এবং তাঁদের অন্যান্য সতীর্থ ও শিল্পানুরাগী বান্ধব ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিল্পশিক্ষার অনুক‚ল পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন। প্রথম প্রজন্মের শিল্পীরা এই পরিবেশেই তাঁদের মানসভুবনকে সমৃদ্ধ করেছেন। আলোড়িত হয়েছেন আধুনিক শিল্পচৈতন্যে। সীমাবদ্ধ অ্যাকাডেমিক শিল্পের বৃত্ত ভেঙে শিল্পের ভুবনে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন নানা শৈলী ও প্রকরণ। নিত্যনব উদ্ভাবন ও পাশ্চাত্যের বিলোড়ন সৃষ্টিকারী নানা প্রবণতা সম্পর্কে তাঁরা অনেকেই আলোড়িত হয়েছিলেন।

ভাবতে ভালো লাগে যে, প্রথম প্রজন্মের অধিকাংশ শিল্পীই অ্যাকাডেমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর আধুনিক শিল্পচৈতন্য ও পথনির্মাণের নানা উদ্দীপন-বিভাবে আন্দোলিত হয়েছিলেন। অনেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। বিশেষত প্যারিস, রোম ও লন্ডনের নানা প্রবণতা সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের জন্য তাঁরা উন্মুখ হয়ে ছিলেন। পাশ্চাত্যের শিল্পপ্রবণতাকে তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেছেন নানা দৃষ্টিকোণ থেকে। কেউ অবগাহন করেছেন বিমূর্ততায়। কেউ বাস্তবরীতিতেই মগ্ন থেকেছেন। কেউ দেশীয় ঐতিহ্যিক প্রবাহকে নবীন ও আধুনিকতার আলোকে সমন্বয় ঘটিয়ে নতুন এক চিত্রভাষা রচনা করেছেন। চিত্রকরদের এই জিজ্ঞাসা শিল্প-সাহিত্যে যে-অভিঘাত সৃষ্টি করেছিল এও কম গুরুত্ববহ ছিল না। সেই আলোকে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে মুর্তজা বশীরের সৃজন-ভুবনকে পর্যবেক্ষণ করলে আমরা প্রত্যক্ষ করি তাঁর সৃষ্টি কতভাবে গভীরতা-সন্ধানী হয়ে উঠেছিল। এই সময়ের কাজে মুর্তজা বশীরের সমাজ অঙ্গীকার প্রবলভাবে বলীয়ান ছিল। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে নবীন মাত্রা যোগ করেছেন বহুকৌণিক কর্ম, নিরীক্ষা, রঙের সুমিত ব্যবহার ও সমাজচেতনার উজ্জীবিত বিভাব চিত্রপটে প্রতিবিম্বিত করার মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রশিল্পে মুর্তজা বশীরের বিশিষ্টতা চোখে পড়ার মতো। এক পর্ব থেকে আরেক পর্বে তাঁর উত্তরণ এবং আশ্চর্য সিদ্ধি এই মানুষটিকে অন্যতম আধুনিক চিত্রকরের মর্যাদা দান

বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রশিল্পে মুর্তজা বশীরের বিশিষ্টতা চোখে পড়ার মতো। এক পর্ব থেকে আরেক পর্বে তাঁর উত্তরণ এবং আশ্চর্য সিদ্ধি এই মানুষটিকে অন্যতম আধুনিক চিত্রকরের মর্যাদা দান করেছে। দক্ষ তিনি তেলরঙে। বারংবার তিনি বিষয়কে বদল করেছেন। এক বিষয় থেকে বিষয়ান্তে যাত্রাও তাঁকে বিশিষ্ট ও স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল করেছে। শিল্পের অন্বিষ্ট ভুবন এভাবেই তাঁর সৃষ্টিকর্মে তাৎপর্যময় ও উদ্দীপন-বিভাব সৃষ্টি করেছে। তাঁর ড্রইংও বেশ শক্তিশালী। নিরন্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তিনি তাঁর সৃষ্টির বিভাময় উদ্যানে। একই বৃত্তে কোনোদিন থেমে থাকেননি। মূর্ত ও বিমূর্ত- এ দুই ধারার কাজেই দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি অনেকগুলো সিরিজেরও শিল্পী। দেয়াল, শহীদ-শিরোনাম, পাখা, রমণী, কলেমা-তৈয়বা- প্রতিটি সিরিজই বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল।

সমাজচেতনায় উদ্দীপিত দৃষ্টিভঙ্গি মুর্তজা বশীরকে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য। জলরং, কালি-কলম, এচিং, অ্যাকুয়াটিন্ট ও লিথোগ্রাফ করেছেন অসংখ্য। মোজাইক ও ম্যুরাল মাধ্যমেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বেশকিছু কাজ। বাংলাদেশ ব্যাংকে করা তাঁর বৃহৎ কাজেও প্রতিভার স্বাক্ষর স্পষ্ট। এছাড়া ১৯৭৪ সালে ইট দিয়ে মোজাইক-চিত্র নির্মাণ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া ভাষা-আন্দোলনভিত্তিক তাঁর ড্রইং এবং লিনোকাটে মুর্তজা বশীরের শক্তিমত্তার পরিচয় মেলে। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থে এই লিনোকাটগুলো সেই সময়ের চেতনাকে ধরে রেখেছে।

ছাত্রাবস্থায় বামপন্থায় আস্থাশীল ছিলেন বলে তাঁর সৃজনে অঙ্গীকারের ছায়া পড়েছিল। বিশেষত ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সালে তিনি যেসব মানব-মানবীর ছবি অংকন করেছেন সেখানে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল সাধারণ মানুষের অবয়ব। এইসব চিত্রগুচ্ছে মানুষের মর্মযাতনা বেশ উজ্জ্বলভাবে ধরা আছে। এই সময়ে করা হাসপাতালে নির্যাতনে মৃত্যুপথযাত্রী কৃষক-নেত্রী ইলা মিত্রের প্রতিকৃতিটি অসাধারণ। তেভাগা আন্দোলন ও ইলা মিত্র এখন কৃষক-আন্দোলনের ইতিহাসের অন্তর্গত। এই ছবিটিতে ধরা পড়েছে বশীরের শক্তিমত্তা, কাজের শৈলীতে স্বাতন্ত্র্য। ভাষা-আন্দোলনেও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। ভাষা-আন্দোলনভিত্তিক তাঁর কয়েকটি সৃষ্টি আজ ইতিহাস ও গবেষণার অন্তর্গত। এছাড়া পাথর খোদাইয়ে করা তাঁর কয়েকটি কাজে চর্চিত বৈশিষ্ট্যও উজ্জ্বলভাবে ধরা আছে।

এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুর্তজা বশীর বলেছেন, বামপন্থায় তাঁর বিশ্বাস কেমন করে হয়েছিল। কেমন করে সংশ্লিষ্ট হলেন কমিউনিস্টদের সঙ্গে, জীবনে নানা টানাপড়েনের সমাজতন্ত্র ও সামাজিক সাম্যে তিনি আজো আস্থাশীল। পরবর্তীকালে তাঁর ‘দেয়াল’ সিরিজের কাজেও সমাজচেতনার অঙ্গীকার স্পষ্টতা পেয়েছে। মুর্তজা বশীর এই সামাজিক অঙ্গীকারের কারণেই হয়ে ওঠেন এক পর্যায়ে সত্যিকারের রাজনীতি-সচেতন শিল্পী।

মুর্তজা বশীরকে ছাড়া দেশের আধুনিক চিত্রকলা-আন্দোলনের আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে করা তাঁর ছবিতে যে প্রাণের আবেগ প্রত্যক্ষ করেছি আমরা, এ কম গুরুত্ববহ নয়। তাঁর দেয়াল সিরিজের চিত্রগুচ্ছ একসময় প্রচণ্ড নাড়া দিয়েছিল। এমনকি এপিটাফ চিত্রসমূহও ছিল এদেশের চিত্রকলায় নতুন সংযোজন। তিনি অবশ্য নিজেকে শিল্পের অনলে ও দহনজ্বালায় এতভাবে বদল করেন যে, এক পর্ব থেকে আরেক পর্বে তাঁকে চেনাই যায় না। নতুন পর্বে তাঁর অভাবনীয় শক্তি পর্যবেক্ষণ করলে বিস্মিত হতেই হয়। একজন বড় শিল্পীর গুণাবলি তাঁর সৃজনী অনলকে চালিত করে সর্বদা। সেজন্যে এক পর্বের কাজে যখন বিরাট সম্ভাবনাকে প্রত্যক্ষ করি, আরেক পর্বে এসে তাঁকে কেমন যেন ম্রিয়মাণ মনে হয়। কিছুদিন ছেদ থাকে তাঁর কাজে। প্রত্যক্ষ করি তাঁর অনুভ‚তির তীব্রতা, জীবনকে পর্যবেক্ষণ করার আশ্চর্য দক্ষতা এবং নিজেকে পরিবর্তন করার প্রবল আকাক্সক্ষা। মুর্তজা বশীর এখানেই অনন্য শিল্পী। ষাটের দশকে তিনি যখন ফ্লোরেন্স, ফ্রান্স বা করাচিতে কিছু তেলরঙের কাজ করেছিলেন, আমরা অবাক-বিস্ময়ে দেখেছিলাম তাঁর শক্তিমত্তা। এই সময়ে তাঁর ড্রইং নতুন শক্তি নিয়ে উন্মোচিত হয়েছিল।

মুর্তজা বশীরের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী-উপলক্ষে বেঙ্গল গ্যালারি তাঁর শিল্পসাধনার যে-প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল, নানা দিক থেকে আমাদের আধুনিক চিত্রকলার ইতিহাসে এ এক অনন্য ঘটনা। যদিও এ-প্রদর্শনীটি তাঁর সামগ্রিক চিত্রের কোনো প্রদর্শনী ছিল না, তবুও এই প্রদর্শনীতে মুর্তজা বশীরের নিত্য-নিরীক্ষার ও পথপরিক্রমার পূর্বাপর স্বাক্ষর ছিল। কিছু পুরনো ড্রইং এবং পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে করা বেশকিছু কাজ ছিল প্রদর্শনীতে। এইসব চিত্রে আমরা উপলব্ধি করেছি তাঁর শক্তিমত্তা। তাঁর যে-কোনো অনুরাগী বা মুর্তজা বশীর-গবেষকের জন্য এ-প্রদর্শনী নানা দিক উন্মোচন করেছে, এ-ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এছাড়া শিল্পের নানা শাখায় বিচরণে দক্ষ আধুনিক এই মানুষটির উত্তরণ-ভাবনা মনন ও চারিত্রিক বিশিষ্টতা এবং নান্দনিকতার অনুভূতিকে সহজেই শনাক্ত করতে পেরেছেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে করা তাঁর ড্রইং, জলরং ও তেলরঙের কাজে তিনি সেই সময়েই অমিত সম্ভাবনা ও আধুনিক শৈলীকে যেভাবে আয়ত্ত করেছিলেন প্রদর্শনীতে তেলরঙে করা বাস্তবধর্মী কয়েকটি কাজে তারই স্বাক্ষর ছিল। বশীর বাস্তবধর্মী কাজের সৃজনী উৎকর্ষে একসময় যে এদেশের আধুনিক চিত্রকলায় নবধারা-সৃষ্টিতে উন্মুখ ছিলেন সে-কথাই প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রদর্শনী মুর্তজা বশীরের সৃজন-বৈভবের কয়েকটি পর্বে বিন্যস্ত ছিল এবং তিনি যে কত ধরনের কাজ করেছেন, তা উপলব্ধি করা গিয়েছিল। ড্রইং তাঁর বহুবিচিত্র, অন্যদিকে জলরঙে সিদ্ধির ছাপ স্পষ্ট। আর তেলরঙে তাঁর এ-অনায়াস দক্ষতা সহজ দৃষ্টিতেই উপলব্ধি করা গিয়েছিল।

এই প্রদর্শনীতে নানা পর্বের কাজ দেখে মনে হয়েছে, কী প্রবল মুর্তজা বশীরের অনুসন্ধিৎসা! অনুভব করতে চেয়েছেন ইন্দ্রিয় দিয়ে চলমান জীবনকে। এক পর্যায়ে বিষাদ ও কামনাও তাঁকে স্বস্তি দেয়নি। অংকন করেছেন ভেতরের আবেগকে সংযত করে নারীর বেদনা ও অফুরন্ত সৌন্দর্যকে। নারীকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবার এই যে দৃষ্টিভঙ্গি, এও কম তাৎপর্যবাহী নয়। তাঁর একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে বেঙ্গল পাবলিকেশনস থেকে। এই গ্রন্থে তাঁর শিল্পিত মানসগঠন, উত্তরকালের নানা জিজ্ঞাসা, পিতা বহুভাষাবিদ পণ্ডিত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, একুশের চেতনা, আচার্য জয়নুল আবেদিনের ব্যক্তিস্বরূপ ও বন্ধুবৃত্তের প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে এসেছে। এই গ্রন্থটি পাঠ করে আমরা নানাভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি।

ঢাকার সরকারি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৫৪ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর উচ্চশিক্ষা ফ্লোরেন্সের একাদেমি দ্যেল্ বেল্লে আর্তিতে ১৯৫৬-৫৮ সালে এবং প্যারিসের ইকোল নাসিওনাল সুপিরিয়র দ্য বোঁজ আর্তে ১৯৭১-৭৩ সালে। দেশ-বিদেশে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করে অবসর জীবনযাপন করেছেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে শিক্ষাদানকালে তিনি ও তাঁর রশিদ চৌধুরী ও দেবদাস চক্রবর্তী শিক্ষার্থীদের যেভাবে সৃজনশীলতায় উদ্বুদ্ধ করেছেন তা ছিল আগ্রহোদ্দীপক। এই তিনজন শিল্প-শিক্ষক প্রতিভাবান কয়েকজন বিদ্যার্থীকে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের আলোকে এমনভাবে দীক্ষিত করেছিলেন যা ছিল প্রথাবহিভর্‚ত, একান্ত ভিন্ন ও পৃথক এক শিল্পভুবন। এই ভুবনও পরবর্তীকালে ‘চট্টগ্রাম স্কুল’ বলে চিহ্নিত হয়েছিল। তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ ও উপন্যাস পাঠক-সমালোচকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সম্প্রতি তাঁর বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App