×

পুরনো খবর

যেসব খাবার খেলে অবসাদ দূর হয়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০১:১৬ পিএম

যেসব খাবার খেলে অবসাদ দূর হয়
দিনের পর দিন মন খারাপ থাকতে থাকতে তা ক্রমিক আকার ধারণ করাই মানসিক অবসাদ। আর এমনটা হওয়া মাত্র জাগতিক সব কিছু থেকে কেমন যেন মন উঠতে শুরু করে। কোনো কিছুই যেন ভাল লাগে না। মনে হয় জীবনটা যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিকেই চিকিৎসা পরিভাষায় ডিপ্রেশন বলা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মন খারাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের চারপাশে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা মানসিক অবসাদকে নিমেষে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন- ১. জাম: সুস্বাদু এই ফলটির ভেতরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মানসিক অবসাদ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। জার্নাল অব নিউট্রিশনাল অ্যান্ড এনভারোমেন্টাল মেডিসিন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল এমন একটি উপাদান, যা ব্রেন হেল্থের উন্নতিতে নানাভাবে সাহায্য় করে থাকে। ২. সবুজ শাক-সবজি: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের ডায়েটে সবুজ-শাক-সবজিকে জয়গা করে দিলে ব্রেনের ভেতরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেস ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সবজিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যান্সারের মতো মরণ রোগের প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৩. শতমূলী: মানসিক অবসাদের কারণে যদি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠে তাহলে আজ থেকেই নিয়মিত অল্প করে শতমূলী গাছের মূল থেকে বানানো পাউডার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন এমনটা করলে দারুন উপকার মিলবে। আসলে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টমকে শান্ত করার মধ্যে দিয়ে মনকে চাঙ্গা করে তুলতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৪. ব্রাহ্মি শাখ: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এই শাকটি খাওয়া মাত্র মস্তিষ্কের ভেতরে সেরাটোনিন লেভেল বাড়তে শুরু করে। ফলে মন এতটাই চনমনে হয়ে ওঠে যে মানসিক অবসাদ দূরে পালাতে সময় লাগে না। ৫. আখরোট: অল্প করে আখরোট খাওয়া শুরু করলে মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময়ই লাগবে না। আসলে এই বাদামটির ভেতরে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একদিকে যেমন ব্রেন ফাংশন বাড়াতে সাহায্য করে, তেমনি ডিপ্রেশনের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৬. গ্রিন টি: শরীরকে রোগ মুক্ত রাখার পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতে গ্রিন টি-এর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আসলে এই পানীয়টিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান শরীর থেকে সব টক্সিক উপাদানদের বের করে ব্রেনকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে মানসিক অবসাদ কমাতে সময় লাগে না। ৭. অশ্বগন্ধা: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অশ্বগন্ধায় উপস্থিত স্টেরোয়ডাল ল্যাকটোনস, অ্যালকালয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অংজাইটি প্রপাটিজ শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পর মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই এবার থেকে মন খারাপ ঘারে চেপে বসলেই অল্প করে অশ্বগন্ধা পাউডার জলে গুলে খেয়ে নেবেন। ৮. পুদিনা পাতা: পুরানো দিনের আয়ুর্বেদিক পুঁথি ঘাঁটলেই জানতে পারবেন নার্ভাস সিস্টেম সম্পর্কিত নানা রোগের চিকিৎসায় কিভাবে ব্যবহার করা হত পুদিনা পাতাকে। আসলে এই পাতাটির ভেতরে থাকা মেন্থল নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার এবং পটাশিয়াম মানসিক অবসাদ কমানোর পাশাপাশি ইনসমনিয়ার মতো রোগ সারাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ইউনাইটেড নেশানের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানসিক অবসাদে আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ২৫-৪০ এর মধ্যে। এমন একটা পরিস্থিতিতে নিজেদের ভবিষ্যতকে চাপ মুক্ত করতে প্রাকৃতিক উপাদানগুলি খাওয়া শুরু করুন। উপকার মিলবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App