×

পুরনো খবর

করোনাতেও অদম্য চলনবিলের কৃষকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২০, ০৬:৩৮ পিএম

করোনাতেও অদম্য চলনবিলের কৃষকরা
কৃষিকে বাঁচাতে বৈশ্বিক সমস্যা করোনার মধ্যেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন চলনবিলের কৃষক, শ্রমিক ও কৃষাণীরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনেই কাজ করছেন তারা। অযথা হাট বাজার চায়ের স্টল বা ত্রাণের জন্য ভীর না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মাঠে কাজ করছেন তারা। কারো করুনা বা দয়ায় নয় নিজে কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে চান এসব খেটে খাওয়া মানুষগুলো। নাটোর কৃষি অধিদপ্তররের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরে চলনবিলের ৯ উপজেলায় মোট ৬২ হাজার ৩শ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে রবি শষ্যের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৪ হাজার ৪শ’ ১০ হেক্টর, রায়গঞ্জে ২ হাজার ৯শ’ ৯৫ হেক্টর, উল্লাপাড়ায় ১৯ হাজার ৭শ’ হেক্টর, শাহজাদপুরে ১৪ হাজার ৬শ’ ২৫ হেক্টর, এছাড়া পাবনার চাটমোহরে ৫ হাজার ৬শ’ হেক্টর, ভাঙ্গুগুড়ায় ৫ হাজার ৬শ’ ১৫ হেক্টর, নাটোর গুরুদাসপুরে ১ হাজার ৫শ’ হেক্টর, সিংড়ায় ১ হাজার ৪শ’ ৫০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে রবিশষ্যের আবাদ হয়েছে। নাটোরের কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায় এ বছর চলনবিলের ৯ উপজেলায় মোট ৬২ হাজার ৩শ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে রবিশষ্যের আবাদ করা হয়েছে। চলনবিলের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো, আব্দুল করিম জানান, এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিল। বাংলা দেশের একমাত্র প্রবাহমান বিল হওয়াতে বর্ষায় এই বিলে প্রচুর পলি জমার কারণে এই মাটি প্রচুর উর্বর। যে ফসলই রোপন বা বপন করা হয় তাতেই সোনা ফলে। এখানে ধান, গম, ভূট্রা, সরিষা, মশুর, রসুন, বাঙ্গী, তরমুজসহ নানা বিধ ফসল উৎপন্ন হয়। যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভুমিকা পালন করে থাকে। এ মৌসুমে প্রচুর শ্রমিকের দরকার কিন্তু করোনার কারনে শ্রমিক সংকটে পরেছে স্থানীয় কৃষকরা। এদিকে বাহিরের শ্রমিকও আসছেনা । এ নিয়ে কৃষকরা পরেছে বিপদে। তাই স্থানীয় কিছু শ্রমিক নিয়ে নিজেরাই ভাগা ভাগি করে কাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়- চলনবিলাঞ্চলের চাষিরা বছরজুড়েই ব্যস্ত থাকে সোনালী ফসলের পরিচর্যায়। কোন বাঁধাই তাদের দমাতে পারেনা। চলনবিলের ন্যায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে দেশজুড়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ফাঁকা মাঠে কাজ করলে কায়িক পরিশ্রমও হবে কারো কাছে হাত পাততেও হবেনা দেশের উন্নয়নও অব্যাহত থাকবে। এতে ফসলও ঠিকমত ঘরে উঠবে শ্রমিক সংকটও হবেনা। শ্রমিকদের ও দু পঁয়সা আয় হবে। গুরুদাসপুর কর্মকার পাড়ার রুপালী ও মায়ারানী এবং শ্রীপুরের মালিহা ও শান্তা বেগমসহ বেশ কয়েক জন নারী শ্রমিক জানান, কোন নেতা, বিত্তবান কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি আমাদের পাশে দাঁড়ায় নি তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই পেটের দায়ে ভয়কে জয় করার চেষ্টা করছি। তাতে মৃত হলে হবে সব কিছু ওপর ওয়ালার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। চলনবিলের কৃষক গোলাম ও ফিরোজ সরদার জানান, শ্রমিক সংকটের কারনে সারা বছরের কষ্টার্র্জিত আবাদী ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই বাদ্য হয়ে সামান্য কিছু শ্রমিক নিয়ে নিজেরাই কাজ করছি। এছাড়া তো উপায় নেই। ফসল ঘরে তুলতে না পারলে খাব কি আর ঋণই বা দিব কি দিয়ে। নাটোরের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, কৃষি কাজে নিয়োজিত নারী-পুরুষেরা সরকারি বিধি মেনে কাজ করলে ভয়ের কোন কারণ নেই। গরম এবং কায়িক পরিশ্রমের ফলে স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে কিছু টাকাও আয় হবে এবং দেশের অর্থনীতির চাকাও সচল থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App