×

পুরনো খবর

শীত মৌসুম এ সঠিক খাদ্যাভ্যাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০২:০৪ পিএম

প্রকৃতিতে এখন চলছে শীতের দাপট। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতের প্রকোপ এখনও পুরোপুরি অনুভূত না হলেও প্রকৃতিতে কিন্তু রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব চলে এসেছে মাস দুয়েক আগেই। যেহেতু আমাদের দেশের গরমকাল থাকে বছরের বেশিরভাগ সময়, তাই মাস দুয়েক বা আর একটু বেশি সময়ের জন্য শীতের প্রকোপ আমাদের যেন একটু কোণঠাসা করে দেয়। তাই অল্প দিন হলেও শীতের এই সময়টায় সুস্থ থাকাটা বেশ জরুরি। আর এজন্য চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস। এ সময়ে বাজারে নানা ধরনের শাকসবজি ও দেশি ফল পাওয়া যায়, যা বছরের অন্য সময়ে খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই এসব খাবার বেশি বেশি খাওয়া ভালো। সেই সঙ্গে খেতে পারেন সালাদও। কমলা : সারা বছর কমলা পাওয়া গেলেও এটি সাধারণত শীতকালীন ফল। দেশি-বিদেশী বিভিন্ন ধরনের কমলা পাওয়া যায় বাজারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা আস্ত ছিলে যেমন খেতে পারেন তেমনি জুস করেও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ফ্লোরেট, মিনারেল এবং ফাইবার। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সর্দি-কাশির মতো অসুখগুলো থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। আপেল : প্রবাদ আছে—দিনে একটি আপেল খাও, ডাক্তারকে এড়িয়ে চলো। আপেল হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধক। এখন বাজারে লাল ও সবুজ দুই ধরনেরই আপেল পাওয়া যায়। তবে ফরমালিনের কারণে অনেকেই আপেল খাওয়া খেতে দূরে থাকেন। এটি করা উচিত নয়। বাজার থেকে আপেল কিনে ভালোভাবে ধুয়ে রাখলে ফরমালিনের প্রকোপ কমে যাবে। তাই দিনের মধ্যভাগে একটি আস্ত আপেল খেতে পারেন। পেয়ারা : এটি বর্ষাকালেল ফল হলেও শীতকালেও এটি পাওয়া যায়। পেয়ারায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার, ভিটমিন এ, সি, ফ্লোরিক এসিড, স্বাস্থ্যকর মিনারেল, পটাসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ। এতে রয়েছে খুবই সামান্য মাত্রার ফ্যাট। একটি পেয়ারাতে যে পরিমাণ ভিটামিন সি আছে তা চারটি কমলার সমান। প্রতিদিন পেয়ারা খেলে জটিল রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। আনার : আনারে রয়েছে এমন এক ধরনের জৈব রাসায়নিক যার মাধ্যমে শরীরে কোনো স্থানে ক্ষত হলে তা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো মিনারেল। আনার দানা প্রতিদিন খেলে এটি শরীরে বেশ ভালো কাজ করে। বাদাম ও ড্রাই ফ্রুট : বেশিরভাগ বাদামে সিলিনিয়াম থাকায় এটি বিষণ্নতা ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কার্যকর। ড্রাই ফ্রুটে বা শুকনো ফল তাজা ফলেল চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। তাই শীতের এ সময়টায় বেশি করে শুকনা ফল খাওয়া ভালো। পালং শাক ও পিস : শীতকালে এমনিতেই অনেক বেশি শাকসবজি বাজারে পাওয়া যায়। এসব শাকের মধ্যে পালং শাক ও গ্রিনপিস অনেক বেশি পুষ্টিকর। কেননা এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার আয়রন যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। রক্তশূন্যতা এতটাই সাধারণ একটা অসুখ যে অনেকেই একে তেমন গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এ রোগে আক্রান্তরা বেশ ভুক্তভোগী হয়ে থাকে। গাজর : গাজরে আছে ভিটামিন বি, সি, ডি, ই এবং কে। এটি উচ্চমাত্রার ফাইবার, মিনারেল ও এন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এর শেকড় হজম সমস্যার সমাধান করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এমনকি টনসিলের মতো সমস্যাও দূর করে। মিষ্টি আলু : ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু পুষ্টিকর খাবারগুলোর একটি। শুধু তাই নয়, এটি ভিটামিন এ ও সি-তে ভরপুর। এতে আরও রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ও কপার। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু রাখলে তা আপনাকে সুস্থ রাখবে। ডার্ক চকলেট বা কোকা : চকলেট খেলে মন ভালো হয়ে যায়। এতে চিনি থাকার কারণে শরীরকেও উষ্ণ রাখে। তাই বছরের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে শীতের এ সময়টায় কোকা সমৃদ্ধ চকলেট খেতে পারেন অনায়াসেই। সরিষা পাতা ও মেথি : সরিষা পাতা ঠাণ্ডার মতো কমন রোগ প্রতিরোধে বেশ সহায়ক। এতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিনস, মিনারেল। শীতে প্রতিদিন সরিষা বাটা বা সরিষার তরকারি খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া মেথিতেও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। এটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App