×

পুরনো খবর

আ.লীগের প্রচারণা তুঙ্গে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৮ পিএম

আ.লীগের প্রচারণা তুঙ্গে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় বিএনপি
ঢাকা-১৯ আসনে (সাভার-আশুলিয়া) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠ দাবড়ে বেড়ালেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন। নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, পোস্টার লাগাতে বাধা, ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে থমকে আছে তার জনসংযোগ। নৌকা প্রতীকের পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। অন্যদিকে কিছু এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার দেখা গেলেও অনেক স্থানেই তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। গত দশ বছরে মামলা হামলায় দলবদলের একাধিক ঘটনা ঘটলেও বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। আওয়ামী লীগ চায় জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। রিটার্নিং অফিস সূত্র মতে, দেশের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী এই আসনটি ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। সর্বশেষ তালিকায় মোট ভোটার ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬০ জন। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩০ জন পুরুষ ও ৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ জন নারী ভোটার রয়েছেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বিন্যাসকালে সাভার উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন অন্য দুটি আসনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এরআগে আসনটির পরিচিতি ছিল ঢাকা-১২ আসন হিসেবে। ১৯৮৬ সালে ঢাকা-১২ আসনে বিজয়ী হন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম শামসুদ্দোহা খান মজলিশ। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হন আশরাফ উদ্দিন খান ইমু। ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী নিয়ামত উল্লাহ সাবু। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু। ২০০৮ সালে ডা. সালাউদ্দিনকে পরাজিত করে ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের নতুন মুখ ডা. এনামুর রহমান। এবার ডা. সালাউদ্দিন বাবু ও ডা. এনামুর রহমান মুখোমুখি হয়েছেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. সালাউদ্দিন বাবুর বাবা মরহুম দেওয়ান ইদ্রিসও এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। সালাউদ্দিনের তুলনায় রাজনীতিতে নতুন মুখ ডা. এনামুর রহমান ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্ণধার। তার বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ভোটার জানান, শিল্পনগরী সাভার-আশুলিয়ায় স্থানীয়দের চেয়ে ভাসমান ভোটারের আধিক্য রয়েছে। মূলত পোশাক শ্রমিকরা এই আসনে ফলাফলের ভাগ্য নির্ধারক। সাভার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী পরপর দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গত নির্বাচনে বিএনপির তরুণ মেয়র প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি মাঠে নামতে না পারলেও ফলাফল ছিল ঈর্ষণীয়। আগামীর সংসদ সদস্যদের ভাগ্য নির্ভর করছে তরুণ ও ভাসমান ভোটারদের ওপর। এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. সালাউদ্দিন বাবু অভিযোগ করেছেন, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। গভীর রাতে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন নেতাকর্মীদের ইচ্ছেমতো গ্রেপ্তার করছে। এটা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অসমতল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, সবাই নির্বিঘ্নে কাজ করছে। কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখানে দৃশ্যমান। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App