×

পুরনো খবর

রূপগঞ্জে অপহৃত শিশু চার দিনেও উদ্ধার হয়নি

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ১০:২০ পিএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আবু সিদ্দিক নামে ৪ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণের ৪ দিন পার হয়ে গেলেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত মঙ্গলবার উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় শিশু আবু সিদ্দিককে। সন্তানকে না পেয়ে মা-শিমু আক্তার পাগল প্রায়। বিধবা শিমু আক্তার জানান, তার স্বামী জাকির হোসেন ১ বছর আগে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার জহিরুল ইসলামের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন তিনি। বর্তমানে শিমু আক্তার মাইক্রো সুইং ফ্যাক্টরিতে কাজ করছেন। একই বাড়ির ভাড়াটিয়া ভিসা ফকির দীর্ঘদিন ধরে শিমু আক্তারকে বিয়ের প্রলোভনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে বড় ধরনের ক্ষতিসহ তার সন্তান আবু সিদ্দিককে (৪) অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবু সিদ্দিককে ভিসা ফকির বিস্কুট কিনে দেয়ার কথা বলে দোকানে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আবু সিদ্দিককে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আবু সিদ্দিককে পাওয়া যায়নি। রাত ১০টার দিকে ভিসা সিদ্দিক ফোন দিয়ে শিমু আক্তারের কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা না দিলে আবু সিদ্দিককে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। যে কোনো মূল্যে শিশু সন্তানকে জীবিত ফিরে পেতে চান শিমু আক্তার। এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই তারেকুজ্জামান জানান, তারা অপহরণকারী ভিসা ফকিরের স্ত্রী-মালা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। মালা বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন, শিশু আবু সিদ্দিক স্বামী ভিসা ফকিরের কাছে রয়েছে এবং ভালো আছে। শিশুটিকে তার মা শিমু আক্তারের কাছে বুঝিয়ে দেবে বলেও আশ^স্ত করেন মালা। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে ভৈরব রেল স্টেশনের দিঘিরপাড় এলাকায় মালার বাড়িতে শিমুসহ পুলিশ সদস্যরা যান। সেখানে গিয়ে দেখেন শিশু আবু সিদ্দিক নেই। একপর্যায়ে মালার মাধ্যমে ভিসা ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন ভিসা ফকির জানান, পুলিশ ছাড়া মালা ও শিমু আক্তার এলে তাদের কাছে শিশু আবু সিদ্দিককে বুঝিয়ে দেয়া হবে। এজন্য গতকাল শুক্রবার সকালে মালা ও শিমু আক্তারকে গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার বাধ্যপাড়া এলাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবারের মধ্যে শিশুটিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করেছেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App