×

পুরনো খবর

দেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে বিদেশিদের অপতৎপরতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম

দেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে বিদেশিদের অপতৎপরতা

ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিদেশি শক্তিরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে চায় না। তারা চায় তাদের মদদপুষ্ট একজন 'হামিদ কারজাই'কে ক্ষমতায় বসাতে, যাতে এদেশের চলমান উন্নয়নের ধারা বন্ধ হয়ে যায়। আর এ লক্ষ্যে বিদেশি শক্তিরা তাদের অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ. এস. এম মাকসুদ কামাল।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বিদেশি শক্তি যে বিএনপিকেই ক্ষমতায় বসাতে চায় বিষয়টি এমন নয়। বরং তারা তাদের মদদপুষ্ট একজনকে ক্ষমতায় বসাতে চায়। তারা চায় না বাংলাদেশে পদ্মাসেতু হোক, এজন্য বিশ্বব্যাংক থেকে তারা ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে। এদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হোক এটা বিদেশিরা চায় না।

তিনি আরো বলেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা এভাবে চলতে থাকলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এভাবে পরিকল্পনা নেয়ার ফলে চীন ও জাপানের অর্থনীতি সাস্টেইন করেছিল। এই উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত করতেই যাবতীয় ষড়যন্ত্র।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় অভিযোগ করে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বিএনপি যে আন্দোলন করছে তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য নয়। তারা চায় দেশে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন আসুক। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটে সরকার ক্ষমতায় আসবে এটাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্র। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতাকে একদল বিনষ্ট করতে চায়। তারা এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় শেখ হাসিনা ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান ক্ষমতায় এসেই ১১ জন সচিবকে সরিয়ে দিলেন। তার সমুদয় সমর্থন নিয়ে বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে। এরপর আর কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার!

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির একটি 'সফট ল্যান্ডিংয়ের' দরকার আছে। কত দিন জ্বালাও-পোড়াও করা যায়। সেই ২০১৩ সাল থেকে জ্বালাও-পোড়াও চলছে। আমরা দেখেছি, যারা কমিউনিস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে জ্বালাও-পোড়াও করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, তারা টিকে থাকতে পারেনি। এর আগেও তো অনেকে ক্ষমতায় এসেছিল, কেউ কি ডেল্টা প্ল্যান দিতে পেরেছিল? কেউ কি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট দিতে পেরেছিল? দেওয়ার জন্য মাথায় তো আসতে হবে এই ধরনের পরিকল্পনা। আমাদের ডেল্টা প্ল্যান আজ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।

ঢাবি ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন শফিউল আলম ভূঁইয়া। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম। এ সময় আরো বক্তব্য দেন ঢাবি টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ জি এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App