হাসপাতালে কোনো বন্দি খুঁজে পায়নি ইসরায়েল
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১০ এএম
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্ববৃহৎ আশ-শেফা হাসপাতালে হামাসের কোনো কমান্ড সেন্টার, অস্ত্র বা ইসরায়েলি বন্দি খুঁজে পায়নি দখলদার বাহিনী।
ইসরায়েলে হিব্রু ভাষার বিভিন্ন গণমাধ্যম বুধবার এ তথ্য স্বীকার করেছে। খবর আনাদোলুর।
এর মধ্যদিয়ে শিশুঘাতক ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার মিথ্যাচার আরেকবার সবার সামনে স্পষ্ট হয়েছে।
আশ-শেফা হাসপাতালের নিচে হামাসের প্রধান কমান্ড সেন্টার, ঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও বন্দি রয়েছে বলে প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে ইসরায়েল ও গণহত্যার মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্র।
এই অজুহাতে সেখানে বারবার বোমা হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছিল তারা। এছাড়া এর আগে ইসরায়েল এই হাসপাতালের কাছে অবস্থিত একটি গর্তের ছবি প্রকাশ করে বলেছিল, এই গর্ত হাসপাতালের নিচে ঘাঁটি থাকার প্রমাণ বহন করছে।
কিন্তু পরবর্তীতে গণমাধ্যমের তদন্তে এটা বেরিয়ে আসে যে, ওই গর্ত বা ফাটল হাসপাতালের আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরের বায়ু চলাচল ব্যবস্থার একটি মুখ।
লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, বুধবার সকালে আশ শেফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় এই হাসপাতালে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটির আশপাশে বিমান হামলার মাধ্যমে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাসপাতালটিতে ঢুকে অভিযান শুরু করে দখলদার বাহিনী। হাসপাতালটির ভেতরে রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। কেউ বের হলেই তাদেরকে গুলি করা হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী সেখানে আটকে পড়া রোগী এবং চিকিৎসকদের জোরপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। মানবতার শত্রু ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর আগ থেকেই গোটা হাসপাতাল এলাকা ঘিরে রেখেছিল। হাসপাতালের ভেতরেও ট্যাঙ্ক নিয়ে গেছে তারা।
দখলদার ইসরায়েলের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছিল, আশ শেফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে হামাসের একটি ‘কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টার' থাকার তথ্য আমেরিকার কাছে রয়েছে।
এই দাবি প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছিল, জাতিসংঘের নিরপেক্ষ প্রতিনিধি দল এসে এখানে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে। এখানে এমন কোনো কিছুই নেই।
রোগীদের জিম্মি করে আশ-শেফা হাসপাতালে ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।